স্পোর্টস ডেস্ক

০৪ জুলাই, ২০১৬ ১৭:২৩

রোনালদো-বেল দ্বৈরথে কে হাসবেন বিজয়ের হাসি?

ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার মুখোমুখি হবে ওয়েলস ও পর্তুগাল। এটি মূলত দুই রিয়াল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের মধ্যকার লড়াই। এখন সারা বিশ্বের ফুটবল ভক্তদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। কে হাসবেন জয়ের হাসি? রোনালদো নাকি বেল?

অনেক ম্যাচে রিয়ালকে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে তারা জিতিয়েছেন। দেখা গেছে বেলের পাসে রোনালদোর গোল কিংবা রোনালদোর পাসে বেলের গোল। কিন্তু বুধবার (৯ জুলাই) মুখোমুখি লড়াইয়ে সেসব মিথ্যে হতে বাধ্য! জাতীয় দলের জার্সিতে তারা দু’জন এখন পরম 'শত্রু'। একে অপরের প্রতিপক্ষ।

শেষ চারের লড়াইয়ের আগে দুজনই দিয়েছেন দলকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে কে এগিয়ে রোনালদো নাকি বেল তা নিয়ে চলছে বিচার বিশ্লেষণ। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের পর চলতি টুর্নামেন্টই শীর্ষ পর্যায়ে ওয়েলসের প্রথম পদচারণা। ১৯৫৮ সালের পর থেকে প্রতিটি ইউরো ও বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ব্যর্থ হয়েছে তারা। আর এবার তারা যে ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে খেলতে এসেছে সেখানে বেলের অবদান ছিল সাত গোল। দলের ১১টি গোলের মধ্যে নয়টিতে তার সরাসরি সংযোগ ছিল।

অন্যদিকে রোনালদো ২০০৪ সালের রানার্স-আপ, ২০০৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট ও ২০১২ সালের সেমিফাইনালিস্ট। ৩১ বছর বয়সী রোনালদো ইউরোতে প্রতিষ্ঠিত নাম। কিন্তু ওয়েলস ২৬ বছর বয়সী বেলের কাঁধে চড়েই ৫৮ বছর পর খেলতে এসেছে বিশ্ব পর্যায়ের একটি টুর্নামেন্টে। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে যে ম্যাচে নিশ্চিত হয়ে ওয়েলসের ইউরো-২০১৬’র টিকেট, সেটিতে চোট নিয়েই খেলেছিলেন বেলস। এ সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের চারটি ম্যাচ মিস করেন তিনি।

বাছাই পর্বের ফর্ম ইউরোর মূল পর্বেও ধরে রেখেছেন বেল। ইতোমধ্যে তিনটি গোল করেছেন। তার দল 'বি' গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। আর রোনালদো এ পর্যন্ত গোল করেছেন দুটি। অ্যাসিস্টও আছে ১টি। তবে দলকে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না। বেশ কিছু ফ্রি-কিক ও সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন তিনি, যা ঠিক রোনালদোসুলভ নয়। আর সবচেয়ে বড় সত্য হলো এবারের ইউরো ২৪ দলের হওয়াতেই সেরা চারটি তৃতীয় স্থানীয় দলের একটি হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে রোনালদোর পর্তুগাল।

মাঠে দলকে উদ্দীপ্ত করা ও সার্বিক দায়িত্বভারের কথা যদি আসে সেখানেও বেল এগিয়ে। বলা যায় তিনি এখন ওয়েলসের প্রাণভোমরা। এবারের ইউরোতে ওয়েলসের প্রতিটি মুভমেন্টেই তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। মাঠে ও মাঠের বাইরে তিনি সপ্রতিভ। অন্যদিকে মাঠে দলকে যথাযথ নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়ে, প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে, সাংবাদিকের মাইক্রোফোন পানিতে ছুঁড়ে নানা নেতিবাচক আলোচনায় রোনালদো।

এক জায়গায় অবশ্য বেশ মিল রয়েছে। দুজনের কেউই এখনও জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জিতেননি। চলমান ইউরোর ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একজন টিকে থাকবেন শিরোপার লড়াইয়ে। অন্যজনকে পুড়তে হবে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়! দেখা যাক দুই মাদ্রিদ সতীর্থের খেলায় কে হাসেন বিজয়ের হাসি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত