অনলাইন ডেস্ক

২৮ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:৫৫

৫ সন্তানকে ‘স্বীকৃতি’ ম্যারাডোনার, অপেক্ষায় আরও ২!

ফুটবল যাদুকর ডিয়েগো ম্যারাডোনা ফুটবল মাঠে যতই গোছালো খেলোয়াড় হয়ে থাকুন না কেন, মাঠের বাইরে তিনি অন্য এক ম্যারাডোনা। মাঠের বাইরের নানাবিধ বিতর্ক-সমালোচনা তার জীবনে। এর মধ্যে কী নেই- মাদক নিয়ে, বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে।

ডিয়েগো ম্যারাডোনা তার ২৯ বছর বয়সী এক সন্তানকে সম্প্রতি স্বীকৃতি দিয়েছেন, এ নিয়ে তার স্বীকৃত সন্তানের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৫, এবং স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছেন কমপক্ষে আরও ২ জন।

বুয়েনস এইরেসে এক আবেগঘন নৈশভোজে গত বৃহস্পতিবার ২৯ বছর বয়সী ডিয়েগো জুনিয়রকে আলিঙ্গনে জড়িয়েছেন ম্যারাডোনা। রক্তের বাঁধনকে দিয়েছেন আত্মার স্বীকৃতি।  দুই বছর আগেই অবশ্য ডিয়েগো জুনিয়রকে ম্যারাডোনার ছেলে বলে ঘোষণা করেন ইতালির আদালত।

আর্জেন্টিনার ’৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়কও এটি মেনে নিয়েছেন। ছেলের গালে চুমু এঁকে দিয়েছেন, সাংবাদিকদের সামনে ছবির জন্য পোজ দিয়ে বলেছেন, ‘তুমি আমার ছেলে!’

ম্যারাডোনার নতুন বান্ধবী রোসিও অলিভার উদ্যোগে আয়োজিত এই পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একইভাবে আদালতের মাধ্যমে ‘ম্যারাডোনার মেয়ে’ স্বীকৃতি পাওয়া ২০ বছর বয়সী ইয়ানা। ১২ বছর বয়স থেকেই বিখ্যাত বাবার পরিচয় ব্যবহার করে এলেও ইয়ানার সঙ্গে ম্যারাডোনার দেখা হয়েছিল মাত্রই বছর দুয়েক আগে, একটি জিমে।

ইয়ানা ও ডিয়েগো জুনিয়রকে নিয়ে ৫৫ বছর বয়সী ম্যারাডোনার ‘স্বীকৃত’ সন্তান পাঁচজন। সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিলাফেনের ঘরে দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনা তো আছেনই, সাবেক বান্ধবী ভেরোনিকা ওজেদার গর্ভেও তিন বছর আগে জন্ম হয়েছে ডিয়েগো ফার্নান্দোর।

এর বাইরে ‘স্বীকৃতির অপেক্ষায়’ আছেন আরও দুজন, কিউবা ও আর্জেন্টিনায় আরও দুই নারী নাকি ম্যারাডোনার কাছে সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে মামলা করেছেন আদালতে।

ধারণা করা হচ্ছে, ডিয়েগো জুনিয়রের জন্ম সাবেক ইতালিয়ান মডেল ক্রিস্টিনা সিনাগ্রার গর্ভে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ম্যারাডোনার সঙ্গে ডিয়েগো জুনিয়রের সর্বশেষ সাক্ষাৎ ১৩ বছর আগে, একটি গলফ টুর্নামেন্টে। দীর্ঘ এক আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ডিয়েগো জুনিয়র। ম্যারাডোনা ডিএনএ টেস্টে রাজি না হওয়ায় আদালত তাঁকে ম্যারাডোনার সন্তান হিসেবে ঘোষণা দেন।

তবে হাস্যোজ্জ্বল এক ম্যারাডোনাই ছেলেকে নিয়েছেন বরণ করে। দিন দুয়েক আগে মুখের একটা অংশে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। সেই মুখে হাসি ফুটিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘আমি অনেক খুশি কারণ, আমার ছেলের সঙ্গে আবার একত্র হতে পারছি। ইয়ানার ক্ষেত্রে যেমন হলো, ওকেও তেমন করেই বরণ করে নিচ্ছি। ওকে অনেক ভালোবাসি আমি, ও দেখতেও অনেকটা আমার মতো।’ এরপরই কান্নাভেজা চোখে দুজন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন, ম্যারাডোনাও বুয়েনস এইরেসের বাড়িতে দরজা খুলে একে একে ভেতরে ডেকে নেন ‘নতুন’ দুই সন্তানকে।

ডিয়েগো জুনিয়র সরাসরি বাবার আদর ও স্বীকৃতি পেলেও এর আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। বিখ্যাত বাবার সঙ্গে দেখা করার আগেই বলেছিলেন, ‘ফোনে কথা বলেছি আমরা, হোয়াটসঅ্যাপেও খুদে বার্তা চলছিল। এখন দেখা করতে যাচ্ছি। বাবাকে জড়িয়ে ধরাটা হবে আমার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত