স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ আগস্ট, ২০১৬ ২০:৪৭

সতীর্থরা সহযোগিতা করেননি দিলশানকে!

টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন বছর তিনেক আগেই। কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে তিলকরত্নে দিলশান শেষ টানলেন ৫০ ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরও।

তবে অবসরের পরপরই একটা ছোটখাটো বোমা ফাটিয়েছেন সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। যে ১০ মাস তিনি অধিনায়কত্ব করেছেন, সে সময়টা সতীর্থদের পুরো সহযোগিতা পাননি বলে দাবি করেছেন দিলশান।

২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন দিলশান। তারপর হঠাৎ করেই তাঁকে ‘ব্যর্থ’ ঘোষণা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দিলশানের দাবি, শুরুতে নাকি অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার ইচ্ছাটাই ছিল না তাঁর, ‘সত্যিকার অর্থে অধিনায়কত্বের কোনো পরিকল্পনাই আমার ছিল না। সে সময়কার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সভাপতি আমাকে ছয় মাসের জন্য অধিনায়কত্ব নিতে বলেছিলেন। বলেছিলেন, “তুমি ছয় মাসের জন্য অধিনায়কত্ব নাও। এর মধ্যে আমরা বিকল্প কাউকে পেয়ে যাব।”

সময়টা ছিল ২০১১ বিশ্বকাপের পরপরই। কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে—দুজনেই এর আগে আর আধিনায়কত্ব করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ওই সময়টা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্যও একটা ক্রান্তিকাল ছিল। মুত্তিয়া মুরালিধরন অবসরে চলে গেছেন, নুয়ান কুলাসেকেরা চোটের কারণে দলের বাইরে, চোটগ্রস্থ অজন্তা মেন্ডিসও। ওই সময় সতীর্থদের কাছ থেকে যতটুকু সহযোগিতা পাওয়ার, সেটি পাননি বলেই দাবি দিলশানের। সবচেয়ে বেশি ‘অসহযোগিতা’র ইঙ্গিত এখনকার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দিকে।

দিলশানের ভাষ্য, ‘ম্যাথুসের তখন মাংসপেশিতে চোট ছিল, যে কারণে সে বছর খানেক বল করতে পারেনি। হয়তো আমারই দুর্ভাগ্য। কারণ, আমি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরপরই আমরা অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলাম এবং ম্যাথুস আবার বোলিং শুরু করল। হয়তো ওটা মাহেলার (পরবর্তী অধিনায়ক) সৌভাগ্য।’

দিলশানের দাবিটা পুরোপুরি মিথ্যে নয় যদিও। দিলশানের অধীনে ২০ ওয়ানডেতে ম্যাথুস বল করেছিলেন মাত্র ৯টিতে। তাও আবার কোনোটিতেই ৫ ওভারের বেশি নয়। টেস্টে বল করেছিলেন ১৬ ইনিংসের ১২টিতে। কিন্তু জয়াবর্ধনে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ম্যাথুসের বল করার হার বেড়েছে। প্রায় নিয়মিত বোলারই হয়ে উঠেছিলেন।
সূত্র: ইএসপিএন-ক্রিকইনফো

আপনার মন্তব্য

আলোচিত