স্পোর্টস ডেস্ক

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১২:৪৫

কেবল মর্গ্যানই এখনো নেতিবাচক

বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে অনেক ইংলিশ ক্রিকেটার ইতিমধ্যে প্রকাশ্যেই তাদের সম্মতির কথা জানিয়ে দিয়েছেন। প্রকাশ্যে এখনো কিছু না বললেও বেশিরভাগেরই এই সফরে আসার ব্যাপারে কোন দ্বিধা নেই বলেই জানা গেছে।

বেয়ারস্টো, মঈন, জর্ডান এমনকি অধিনায়ক কুকসহ অনেক খেলোয়াড়ের আসার ব্যাপারে আপত্তি নেই, সেখানে মরগানের এত দ্বিধা কেন?

উপমহাদেশে অতীতের দুটি অভিজ্ঞতা শঙ্কিত করে তুলেছে ওয়েন মর্গ্যানকে। যার একটি আবার বাংলাদেশেই।

আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানোর আগে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন নিজের শঙ্কার কথা; তাতেই পাওয়া গেল ইঙ্গিত।

“ব্যক্তিগতভাবে সবাই চায় স্বস্তিতে থেকে ক্রিকেটে মন দিতে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আগেও এমন হয়েছে যেখানে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে এবং এক বা দুবার সেটি হয়েছে নিরাপত্তাজনিত কারণে। তখন আমি নিজেকেই বলেছিলাম যে এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে আর ঠেলে দেব না।”

দুটি ঘটনার কথা আলাদা করেই বলেছেন মর্গ্যান। একটি ২০১০ সালে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার সময়। আরেকটি অভিজ্ঞতা ছিল বাংলাদেশেই; গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের হয়ে ২০১৩ সালে খেলতে এসেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। বাংলাদেশে তখন চলছিল নির্বাচন পূর্ব রাজনৈতিক অস্থিরতা।

“২০১০ সালে আইপিএলের ম্যাচ খেলছিলাম বেঙ্গালুরুতে, মাঠের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। আমরা খুব দ্রুতই মাঠ ছেড়ে সরাসরি চলে যাই বিমানবন্দরে। সেটি একটি ঘটনা; আরেকটি ছিল বাংলাদেশে। খেলতে গিয়েছিলাম ঘরোয়া ক্রিকেটে। নির্বাচনের সময় তখন পরিস্থিতি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের ভয়াবহ।”

তবে মরগানের মতো উপমহাদেশ সফরে আতঙ্কের অভিজ্ঞতা হয়েছিল ইসিবির পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসেরও। সেটি আরও ভয়ংকর ছিল, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর কেভিন পিটারসেনের নেতৃত্বে স্ট্রাউসরা ভারতে এসে টেস্ট খেলেন। স্ট্রাউস ওই অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়েই বলেছেন, নিরাপত্তা দলের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত