স্পোর্টস ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:১৩

আলাভেসের কাছে হারের দায় নিলেন বার্সার কোচ

নব্বই দশকের শেষ দিকে ভেলেজ সার্সফিল্ড থেকে ধারে এসে একটা মৌসুম বার্সেলোনায় খেলেছিলেন মরিসিও পেলেগ্রিনো। বার্সা তো তাঁর সাবেক ক্লাবই। পরশু রাতে নিজের সাবেক ক্লাবকেই পেলেগ্রিনো একটা বড় ধাক্কা দিলেন আলাভেসের কোচ হয়ে এসে। ন্যু ক্যাম্পে তাঁর দল ২-১ গোলে হারিয়ে দিল লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের!

একাদশ নিয়ে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেরার পর লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের একটু বিশ্রামের দরকার ছিল। আলাভেসের বিপক্ষে তাই একাদশে রাখেননি মেসি-সুয়ারেজকে। একাদশে রাখেননি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, রাফিনহা, জর্ডি আলবাকেও। নিয়মিত গোলরক্ষক টের স্টেগেন চোটে থাকায় মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছেন সিলেসেন।

রক্ষণভাগের বাঁয়ে লুকাস দিনিয়ে, ডানে অ্যালেক্স ভিদাল, মাঝমাঠে ডেনিস সুয়ারেজ—সব মিলিয়ে নতুন এক বার্সেলোনা! তারকাহীন, বর্ণহীন বার্সেলোনার বিপক্ষে পুরো সুযোগটাই নিল আলাভেস। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে দেভারসনের গোলে এগিয়ে যায় তারা। জেরেমি ম্যাথিউ ৪৬ মিনিটে সমতা ফেরালেও ৬৪ মিনিটে ইবাই গোমেজের গোলে আবার এগিয়ে যায় আলাভেস (২-১)। পরে মেসি, সুয়ারেজ, ইনিয়েস্তাকে মাঠে নামিয়েও এই ফলটা আর বদলাতে পারেননি এনরিকে।

মৌসুমের শুরুতেই বড় হোঁচট। সেটিও এমন একটা দলের বিপক্ষে যারা ১০ বছর পর ফিরেছে লা লিগায়। দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন এনরিকে, ‘খারাপ যা কিছু হয়েছে তার জন্য শেষ পর্যন্ত আমিই দায়ী।’ প্রতিপক্ষ কোচ পেলেগ্রিনোর কৌশল তাঁকে চমকে দিয়েছে, ‘ওরা যে ৫-৪-১ ছকে খেলবে অনুমান করতে পারিনি। এ কারণে প্রথমার্ধে আমাদের বোঝাপড়াটা ঠিকমতো হয়নি।’ তবে একাদশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষে তাঁর যুক্তি আছে, ‘পরিস্থিতির কারণে কিছু অদল-বদল করতে হয়েছে। আমার দলে ২২ জন খেলোয়াড়। আমরা এই মৌসুমে সবাইকেই সুযোগ দেব।’

বার্সেলোনাকে হারানোর অভিজ্ঞতাটা অবশ্য একেবারে নতুন নয় আলাভেসের জন্য। এই ন্যু ক্যাম্পেই ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বার্সাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। তবে সব মিলিয়ে ন্যু ক্যাম্পে দুই দলের দেখা হয়েছে ১২ বার, ৯ বারই জিতেছে বার্সা। আলাভেস দুবার জিতেছে, ড্র করেছে একটি ম্যাচ।

এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত খেলা তিনটি ম্যাচে আলাভেসকে দেখে মনে হচ্ছে না তারা নতুন খেলতে এসেছে। প্রথম ম্যাচে স্পেনের আরেক পরাশক্তি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে তাদের মাঠেই ড্র (১-১) করতে বাধ্য করেছে। স্পোর্টিং গিজনের সঙ্গে করেছে গোলশূন্য ড্র। মাত্র তিন মৌসুম আগেও যারা ছিল তৃতীয় বিভাগের দল, তাদের জন্য প্রথম তিন ম্যাচে অপরাজিত থাকা দুর্দান্ত নয়? কোচ পেলেগ্রিনো তো এমন জয়ের পর আকাশে উড়ছেন, ‘আসলে ফুটবলে সবকিছুই সম্ভব। আমি আশা করছি, দলটা আরও এগিয়ে যাবে।’
সূত্র: রয়টার্স

আপনার মন্তব্য

আলোচিত