ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৯ নভেম্বর, ২০১৬ ১৭:১৮

বিপিএলের শেষ বেলায় জ্বলে উঠলো মাশরাফির কুমিল্লা

বিপিএলের ৮টি ম্যাচের ৭ টিতেই হারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অবশেষে দেখতে পেল জয়ের মুখ। বরিশাল বুলসকে তারা হারালো ৮ উইকেটে। এক ওভার হাতে রেখে ২ উইকেটে ১৪৫ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।

১৪৩ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও আহমেদ শেহজাদ উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে এনে দেন ৯৩ রান। ম্যাচের গন্তব্য কোন দিকে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় এখানেই। বাঁহাতি ইমরুল ও ডানহাতি শেহজাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ছন্নছাড়া হয়ে যান বরিশাল বোলাররা।

১৩ ওভারে ৯৩ রান করে এই উদ্বোধনী জুটি। ইমরুলের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ডেভিড মালানকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে কামরুল ইসলাম রাব্বির হাতে ধরা পড়েন ইমরুল। ৩৫ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান দিয়ে যান তিনি দলকে।

শেহজাদ দৃঢ় পদক্ষেপেই এগিয়ে চলছিলেন, বাঁধ সাধলেন বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার রুম্মান রাইস। তার করা একটি স্লো বাউন্সারে শেহজাদ করেছিলেন পুল। বলে ব্যাটে ঠিকমতো না হওয়াতে বল চলে যায় লেগ স্লিপ অঞ্চলে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অনবদ্য এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। ৫৬ বলে পাঁচটি চারে ৬১ রান করা শেহজাদ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেননি, নিজেই ধরেন সাজঘরের পথ।

বাকি কাজটুকু সারেন ম্যারলন স্যামুয়েলস ও খালিদ লতিফ। স্যামুয়েলস ১৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৭ ও লতিফ ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করে কুমিল্লাকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বরিশাল বুলস। ৮ উইকেটে ১৪২ রান করা তারা।

বরাবরের মতো এদিনও বরিশালের রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিকু রহিম। তাঁর সঙ্গী ছিলেন জীবন মেন্ডিস ২৮। মুশফিক তার চেয়ে এক রান বেশি করেন। যদিও দলীয় ৮ রান থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল।

দুই ওপেনার মালান ও মুনাবিরা করেন ৯ ও ৭ রান। শাহরিয়ার নাফিস বিদায় নেন ১১ রানে। শেষ দিকে মিনি ঝড় তুলে স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করেন এনামুল হক। ১৫ বলে এক চার ও এক ছয়ে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া ১৬ রানে তাকে সঙ্গ দেন আবু হায়দার।  

বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো নেন নাবিল সামাদ। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তাঁর দখলে। আর দুটি উইকেট নেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত