স্পোর্টস ডেস্ক

১০ জুন, ২০১৭ ০২:১৫

আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই: সাকিব

কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে একাদশে দুটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজকে বসিয়ে দলে ফেরানো হয় তাসকিন আহমেদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করে এ দুজন তুলে নেন ৫ উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ে তারাই গড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের জয়ের ভিত। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন রিয়াদ ও সাকিব। ৩৩ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর পঞ্চম উইকেটে ৩৪.৫ ওভারে ২২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি করার পর দলীয় ২৫৭ রানের মাথায় সাকিব (১১৪) বিদায় নিলে বাকি পথটুকু মোসাদ্দেককে নিয়ে পাড়ি দেন রিয়াদ। এ পথে তিনি (১০২*) ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগার। এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।

জয় শেষে ম্যাচসেরা সাকিব বলেন, ‘আমরা আসলে রান তাড়া করতে চাইনি। চেয়েছি ৪০ ওভার ব্যাটিং করে যেতে এবং তারপর কী ঘটে তার অপেক্ষায় থাকতে। আইসিসি টুর্নামেন্টে এমন জয় সত্যিই বড় কিছু। আমরা এখান থেকে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’

মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে বললেন, ‘আসলে আমরা দুজন খুব একটা কথা বলিনি। শুধুই ব্যাটিং করে যেতে চেয়েছি এবং চেয়েছি ইতিবাচক থাকতে। প্রথম দিকে বল সুইং করছিল, পরে যখন সুইং কমে আসে তখন ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যায়। প্রথম দিকে উইকেট হারানোটা আমাদের জন্য ধাক্কা ছিল। আমি ও সাকিব ফাঁকা জায়গা দেখে এবং বাজে বলে শট খেলতে চেয়েছি।’

২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের একমাত্র সাক্ষী  হয়ে বর্তমান দলে খেলছেন মাশরাফি। শুক্রবার জয়ের পর বেশ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন তিনি। পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে মাশরাফি বলেন, ‘এ অনুভূতি অসাধারণ। আমি উভয় জয়েরই সাক্ষী। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের কথা এখনো মনে করতে পারি, আর এখন নিউজিল্যান্ড। সামগ্রিকভাবে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তার প্রশংসা করার ভাষা আমার জানা নেই। মোসাদ্দেকের ৩ উইকেটও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আয়ারল্যান্ডে (ত্রিদেশীয় সিরিজ) নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আসায় এখানেও তাদের হারাতে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’

স্মৃতিবিজড়িত সোফিয়া গার্ডেনসে বল হাতে দ্যুতি ছড়ান তাসকিন ও মোসাদ্দেক। তাসকিন ৪৩ রানে ২টি ও মোসাদ্দেক ১৩ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন। তাছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়ে তাদের দারুণ সমর্থন জুগিয়েছেন রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে উইকেট না পেলেও হিসাবী বোলিং করেছেন মাশরাফি মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান। বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিউজিল্যান্ডকে ২৬৫ রানে আটকে রাখতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত