রিয়াল বেটিস আর বার্সেলোনার মধ্যকার ৭ গোলের ম্যাচে হেরেছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল। কাম্প নউয়ে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে লা লিগার ম্যাচটি ৪-৩ গোলে জেতে রিয়াল বেটিস।

ম্যাচের ৪৫ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু মালকমের পাস ছোট ডি-বক্সের মুখে পেয়ে ঠিকমতো বলে পা লাগাতেই পারেননি মেসি। ষষ্ঠ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বার্সেলোনা গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান জিওভানি লো সেলসো। তবে পিএসজি থেকে ধারে বেটিসে আসা আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার বল উড়িয়ে মারেন।

২০তম মিনিটে কাম্প নউয়ে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় বেটিস। নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সের্হিও রবের্তোকে কাটিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন স্পেনের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জুনিয়র ফিরপো।

তিন মিনিট পর মেসির ফ্রি-কিকে ছোট ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে ক্লেমোঁ লংলের নেওয়া ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক পাউল লোপেস।

খানিক পর মুহূর্তের ব্যবধানে দুটি সুযোগ নষ্ট হয় বেতিসের। ক্রিস্তিয়ান তেইয়োর কোনাকুনি নিচু শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে ঠোকান মার্ক-আন্ড্রে টের সেটগেন। পরে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লোরেন মোরোন ভালো পজিশনে বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা।

বেটিসের একের পর এক আক্রমণ রুখতে ব্যতিব্যস্ত বার্সেলোনা ৩৪তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে। ডান দিক থেকে স্বদেশি ফরোয়ার্ড তেইয়োর পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে অরক্ষিত অবস্থায় পেয়ে প্লেসিং শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্পেনের হোয়াকিন।

ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বারবার আক্রমণে উঠতে থাকে। কিন্তু ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না শিরোপাধারীরা। উল্টো ৬৪তম মিনিটে ফের গোল খেতে বসেছিল তারা। তবে তেইয়োর শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়।

অবশেষে ৬৮তম মিনিটে মেসির সফল স্পট কিকে ম্যাচে ফেরে বার্সেলোনা। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা জর্দি আলবা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা।

টের স্টেগেনের ভুলে স্বাগতিকদের সে স্বস্তি স্থায়ী হয়নি। ৭১তম মিনিটে লো সেলসোর নেওয়া গোলররক্ষক বরাবর জোরালো শটে কোনো বিপদের শঙ্কা ছিল না; কিন্তু বল তার হাতে লেগে জালে জড়ায়।

দুই বদলি খেলায়াড় মুনির এল হাদ্দাদি ও আর্তুরো ভিদালের নৈপুণ্যে ৭৯তম মিনিটে আবারও ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। গোলটির উৎস মেসির পাস। ডি-বক্সে বল পেয়ে মুনির বাড়ান ডান দিকে। অনায়াসে জালে ঠেলে দেন চিলির মিডফিল্ডার ভিদাল।

তবে এ যাত্রায়ও তাদের স্বস্তি ছিল ক্ষণস্থায়ী। লো সেলসোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ক্রোয়াট মিডফিল্ডর ইভান রাকিতিচ।

প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগায় বেটিস। ৮৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ফিরপোর ছোট ডি-বক্সে বাড়ানো বল ঠিকানায় পাঠাতে শুধু একটা টোকারই দরকার ছিল। কোনো ভুল করেননি বদলি নামা কানালেস।

শেষের নাটকীয়তা তখনও ছিল কিছু বাকি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ভিদালের পাস গোলমুখে পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান মেসি। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। তাতে ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।