হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

শনিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির পর দুপরে চুনারুঘাট উপজেলা মাঠ প্রাঙ্গণে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিৎ রায় দাশ এর সভাপতিত্বে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নগদ অর্থ ও কর্মহীন দুস্থদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে এমন মন্তব্য করেন ডিসি।

তিনি বলেন,  এ উপজেলায় রয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক পাহাড়ি বনাঞ্চল রেমা-কালেঙ্গা। সুন্দরবনের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক এই বন প্রায় ১৭৯৫ হেক্টর আয়তনের এ বনভূমি বনবিভাগের কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গঠিত। রয়েছে প্রায় ২৪টি চা-বাগান। এ ছাড়াও রয়ে বেশ কিছু রিসোর্ট এর জায়গা।

এ সময় তিনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার দুপাশ, বাড়ির পাশে পড়ে থাকা অনাবাদী জায়গায় বেশি করে ফলদ গাছের চারা লাগানো আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, চুনারুঘাট উপজেলায় ইকোনমিক জোন ও বাল্লা স্থলবন্দর বাস্তবায়ন হবে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

পরে তিনি চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাউছার বাহারের আয়োজনে চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন প্রাঙ্গণে নিজ হাতে বৃক্ষরোপণ করেন এবং দরিদ্র ৫টি পরিবারের মাঝে ২৫টি হাস ও চারা বিতরণ করেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর। উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মিলটন চন্দ্র পাল, পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানা, ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাম, কৃষি কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন সরকার, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম, শিল্পপতি আব্দুল মালেক জাপানী, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোস্তাক আহমেদ বাহার প্রমুখ।

এর আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান চুনারুঘাট হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে ডক্টরস হেলথ বুথ, হাত ধৌতকরণ বেসিন ১০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ও আইশোলেসন ওয়ার্ড এর জন্য ১০ টি ফ্যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, ইউএনও সত্যজিৎ রায় দাশ, পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও আরএমও ডা. ফাতেমা হক।

ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাম, শেখ জসিম, আনোয়ার হোসেন লিজন, উপজেলা পরিষদের সিএ ওয়াহিদুল ইসলাম সুমন প্রমুখ। এসময় করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সরাসরি পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের খোঁজ খবর নেন।