সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বিয়ের নয়দিন পর মরম আলী (২৮) নামে নববিবাহিত এক যুবকরে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মরম আলী উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত মোকশেদ আলীর ছেলে।

শনিবার (১১ জুলাই) ভোরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দুপুরে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী জানান, উপজেলার মোল্লাপাড়ার মৃত মোকশেদ আলীর ছেলে মরম আলীর সাথে পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের পূর্ব সিরাজপুর গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২০) এর সাথে গত ৩ জুলাই (শুক্রবার) পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই অনেকটা মানসিক চাপে ভুগছিলেন মরম আলী।

এদিকে শুক্রবার রাতে মায়ের সাথে একই ঘরে ঘুমাতে যান মরম। ভোরবেলা মা জেগে দেখেন ছেলে তার পাশে নেই। এরপর তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে সকালের দিকে বাড়ির আঙ্গিনায় জলপাই বাগানে জলপাই গাছের ঢালে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো অবস্থায় মরম আলীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান গ্রামবাসী।

নিহত মরমের মা সাফিয়া খাতুন বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে মরম কনিষ্ঠ। বিয়ের পরই তার কিছুটা মানসিক সমস্যা দেখা দিলে আমরা কবিরাজের কাছে যাই। কিন্তু সে যে আত্মহত্যা করবে সেটি আমরা বুঝতেই পারিনি।

তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, ঠিক কী কারণে মরম আলী আত্মহত্যা করেছেন তা আপাতত সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে তিনি নাকি কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।