মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি এলাকায় সরকারি কাজে বাঁধা ও হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নাসরিন চৌধুরী বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৫৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন-সালাম মিয়া (৫২), দিলদার মিয়া (৩৩), মুকিদ মিয়া (৪২), মিজানুর রহমান (২০), সুমন আহমদ শিমুল (২১), আনকার মিয়া (২০), সাকিল মিয়া (২০), শওকত আলী (১৯)। তাদের বাড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি ও কানাইদেশী গ্রামে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, সোমবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি এলাকায় সোমবার সকালে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের জমি দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার অভিযানে গেলে, স্থানীয় কতিপয় লোক সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নাসরিন চৌধুরীর গাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর করে। এ সময় দখলদারদের হামলায় সেলিনা আক্তার (২০) নামে এক নারী পুলিশ সদস্য আহত হন। এদিন রাতে কমলগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস শহিদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ৮ আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সাড়ে ১১টায় রাজকান্দি এলাকায় সরকারি খাস জমি উদ্ধারকালে দখলদারদের হামলায় আহত নারী পুলিশ সদস্য সেলিনা হোসেনকে দেখতে এবং চিকিৎসার খোঁজ নিতে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে যান মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।

উল্লেখ্য, ‘দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় “আশ্রয়ণ-২” প্রকল্পের ২০টি গৃহ নির্মাণ কাজের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সরকারি জমি নির্ধারণ করে সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছিলেন। তার আগেই অবৈধ দখলদারদের একটি অংশ সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে দেয়। সোমবার সকালে পুলিশের একটি দল নিয়ে এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। সোমবার দুপুরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় রাজকান্দি এলাকায় গৃহনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক মামলা ও আসামি গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি প্রশাসন খুবই গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে।