আবুল হোসাইন,দিরাই

০৬ নভেম্বর, ২০১৫ ১৯:২৩

দিরাইয়ে জলমহালের দখল নিয়ে আ.লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষে আহত ১০

দিরাইয়ে ঘোড়ামাড়া সাতপাকিয়া জারলিয়া নদীর কোটি টাকার জলমহাল দখল নিয়ে এক মাসের ব্যবধানে ফের আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।এতে  ৩জন গুলিবিদ্ধসহ ১০জন আহত হয়েছেন ।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া নদীর তীরে এঘটনাটি ঘটে। বন্ধুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ সাবেক ইউপি সদস্য মাসুক মিয়া (৫৫), জেবু মিয়া (২৭) ও লিটন মিয়া (৩২) কে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।                

 এলাকাবাসী ও দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২ টায় নদীর উত্তর পাড়ে খলাঘর নির্মাণ করতে গেলে কুলঞ্জ গ্রামের সাবেক মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা মাসুক মিয়াসহ তার লোকজনকে বাধা দেয় যুবলীগ নেতা হাতিয়া গ্রামের একরারের লোকজন। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে একরারের লোকজন মাসুক মেম্বার ও তার লোকজন কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিতাড়িত করে খলা ঘর দখলে নিয়ে যায়।এতে উভয় পক্ষের ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন।

 জলমহালের এক পক্ষের ইজারাদার দাবী করে রাড়ইল গ্রামের আব্দুল কাদির চৌধুরী জানান, একরারসহ তার লোকজন দিনদুপুরে নির্মাণাধীন খলাঘরে হামলা চালায়। তারা আমাদের লোকজনকে আহতকরে জাল, নৌকা ও আহত মাসুক মিয়ার লাইসেন্সকৃত বন্দুকসহ প্রায় ৪০লক্ষ্য টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে।

অপর পক্ষের ইজারাদার দাবীদার যুবলীগ নেতা একরার হোসেন জানান, আমি জলমহালটির বৈধ ইজারাদার হিসেবে গত ২ বছর ধরে   ভোগ দখল করে আসছি,মাসুক মেম্বারের নেতৃত্বে আমার জলমহালটি দখলে নিতে আসলে সংঘর্ষ হয় ।

উল্লেখ্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর উক্ত জলমহালের দখলকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা একরার ও কাওসারের লোকজনের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ৭জন গুলিবিদ্ধ হন। এ ব্যাপারে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) শাহ আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে  এসআই জিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত