নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ মার্চ, ২০২১ ০০:৪৭

শাল্লায় তাণ্ডব: মামলা নেই, গ্রেপ্তারও নেই

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বুধবার রাতে পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বুধবার সকালের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি পুলিশ।

যদিও যে তরুণের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে তাকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর বুধবার সকালে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিই হামলা চালানো হয়। তছনছ করে দেওয়া হয় পুরো একটি গ্রাম।

স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার বদলে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করায়ই অধিক মনোযোগী ছিলো। ফলে প্রকাশ্যে হামলা-ভাঙচুর করা হলেও তাদের আটকের চেষ্টাই করেনি পুুলিশ।

তবে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, তারা যেখানে জড়ো হয়েছিলো পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎ কিছু লোক নদী পার হয়ে বাড়িঘরে হামলা চালায়।

তিনি বলেন, কারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-মুক্তাদির হোসেন বলেন, পুলিশ হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে তা একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা। থানা থেকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যেতেও ৮০ মিনিট লাগে। ফলে পুলিশের পক্ষে তাৎক্ষণিক কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ এ ঘটনায় মামলাও করেনি।

প্রসঙ্গত, ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুধবার সকালে শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে সহস্রাধিক লোক। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল করে হিন্দু অধ্যুষিত এই গ্রামের সবগুলো বাড়িঘরই ভাঙচুর ও লুটপাট করে। গ্রামের প্রায় ৮০টি হিন্দু বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় গ্রামের লোকজন পাশের হাওরে গিয়ে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত