নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার:

১২ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৫৮

দুর্বৃত্তের ছিটানো আগাছানাশকে ঝলসে গেল ধানের চারা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে ৫ কৃষকের এক বিঘা জায়গার ধানের বীজতলা ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের হাইল হাওর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

কৃষক প্রশান্ত দেব, সাধন শুল্ক বৈদ্য, কনা বাদ্যকর, জগাই বাদ্যকর ও জয়রাম কাহার সম্প্রতি একত্রিতভাবে এই জমিতে বীজতলা তৈরী করেছিলেন।

সরেজমিনে বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক বিঘা জমির ওপর লাগানো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে রয়েছে। ধানের সবুজ রঙ এর চারাগুলো ধুসর হলুদ রঙ হয়ে যাচ্ছে। বীজতলার ধানের চারার সাথে সাথে ঘাস লতাও পুড়ে গেছে। এদিকে তাদের জমির আশেপাশের সব বীজতলা ঠিক রয়েছে। শুধুমাত্র তাদের জমিতেই চারা নষ্ট করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক প্রশান্ত দেব বলেন, দুইদিন আগেও এই চারাগুলো সবুজ ছিলো। আজ সকালে তারা এসে ধানের চারাগুলো হলুদ হতে দেখেন। কষ্টের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এখন পথে বসে যেতে হবে তাদের। ধার করে বীজতলা তৈরী করা হয়েছিল। এটা বিক্রি করে সংসারে যোগান দেওয়ার কথা ছিল। এই এক বিঘা জমির চারা প্রায় ৬০ বিঘা (১ বিঘায় ৩০ শতক) জমিতে লাগালে প্রায় ৫০০ মন ধান হতো। এখন টাকা দিয়েও চারা পাওয়া যাবে না। এবছর অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে।

বীজতলা পরিদর্শন করতে আসা উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা (ইছবপুর ব্লক) শহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে আমরা বীজতলা পরীক্ষা করেছি। আমরা ধারণা করছি এখানে ঘাস ও আগাছা মারার ওষুধ ছিটিয়ে বীজতলা নষ্ট করা হয়েছে। এই এক বিঘা জমির বীজতলা দিয়ে ৬০ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করা যেত। আমরা বীজতলা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ওধুষ ছিটিয়ে দিয়েছি। চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব বীজতলা রক্ষা করার।

শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া বলেন, এটা যারাই করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। ফসলি জমির সাথে শত্রুতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

আরেক ইউপি সদস্য মালেকা বেগম ক্ষতিগ্রস্থ গরীব কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য কৃষি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত