জুড়ী প্রতিনিধি

৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৪৪

হাঁস পাচ্ছে জুড়ীর ২৮০ পরিবার

হাওর অঞ্চলের সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জুড়ীর ২৮০ টি পরিবার হাসঁ পাচ্ছে। এসব হাঁস পালনের জন্য যাবতীয় সরন্জাম সহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মানুষদেরকে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, হাকালুকি হাওর বেষ্টিত এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের ২৮০ টি পরিবারের মধ্যে হাসঁ,ছাগল দিয়ে এসব পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে হাওর অঞ্চলের সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করা হয়।এসব পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হাসঁ বিতরন করা হবে।এ লক্ষে গত রবিবার ও সোমবার,মঙ্গলবার  হাঁস পালনের তৈরী ঘর, সরঞ্জাম উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে বিতরন করা হয়।

সরঞ্জাম নিতে আসা পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল চক গ্রামের অল্পনা রানী বিশ্বাস বলেন, আমার স্বামীর সামান্য কৃষিক্ষেত্র রয়েছে যে ধান পাই তা দিয়ে বছরের খাবার হয়ে যায়। আমি হাঁস ছাগল পালন করে আমাদের তিন বাচ্চাকে লেখাপড়া করাচ্ছি। বড় মেয়ে ডিগ্রী ৩য় বর্ষে ২য় মেয়ে ডিগ্রী ১ম বর্ষে,ছোট ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।সব কিছু সম্ভব হয়েছে হাসঁ, মোরগ, ছাগল পালন করে। এসব হাসঁ, মুরগির ডিম বিক্রি করি ছাগল ও বিক্রি করে এসব খরচ জোগাড় করি।এখন যে হাঁস পাবো সেগুলো ও অনেক কাজে আসবে।এই ১৫ টি হাঁস বড় হয়ে বাচ্চা দেওয়ার  মাধ্যমে প্রায় ১০০ টি হাঁস হবে।

পশ্চিম গোবিন্দ পুর গ্রামের ময়না রানী বিশ্বাস বলেন, আমাদের বাড়ি হাকালুকি হাওরের একবারে পাশে।আমার আরও হাঁস রয়েছে এগুলোর সাথে সব হাঁস হাকালুকিতে বড় হয়ে ডিম দিবে।এসব ডিম বিক্রির টাকা থেকে পরিবারের অনেক সক্ষমতা আসে।

জুড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রমা পদ দে জানান,হাওর অঞ্চলের সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব হাঁস দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত তালিকায় এসব হাঁস দুই -চারদিনের মধ্যে প্রদান করা হবে, বর্তমানে হাঁস রাখার জিনিষপত্র বিতরন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত