রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

১০ মে, ২০২৪ ১৬:১৩

আরসিসি সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার, ক্ষোভ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকায় নিম্ন মানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ১ হাজার ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের আরসিসি সড়ক। এলাকার মেস্তুরি বাড়ির সড়কের কালভার্ট হয়ে ফারুক মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত এই সড়কটি নির্মিত হচ্ছে। সড়ক নির্মাণে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

বাড়ি জগন্নাথপুরের বাসিন্দা আলাল আহমদ জানান, পৌরসভার টেন্ডারে আরসিসি ঢালাইয়ের এই সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা একাধিকবার বাধা সৃষ্টি করলে নির্মাণ শ্রমিকরা কারো কথা শুনছে না।
এলাকার শমসের আলী বলেন, বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকার জনসাধারণের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এ সড়কটি। প্রথম দিকে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে চলছিল নির্মাণ কাজ। বর্তমানে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে সড়ক। সড়কের নির্মাণ কাজের জন্য বেশ কিছু ইট আনা হয়েছে। যার সবগুলি ইট একেবারেই নিম্ন মানের। তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি কামনা করেন।

সরেজমিনে  গেলে দেখা যায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকায় মেস্তুরি বাড়ির আরসিসি সড়কের কাজের জন্য নিম্ম মানের ইট স্তরে স্তরে সাজানো।  নির্মাণ শ্রমিকরা সড়কের কালভার্টের নিচ থেকে  গার্ড ওয়াল নির্মাণ  কাজ চালিয়ে যান ওই নিম্ম মানের ইট দিয়ে । এ সময় জানতে চাইলে, তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর পৌরসভার টেন্ডারে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে  বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে  কোভিড-১৯ প্রজেক্টের এক প্যাকেজের তিনটি কাজ পায়  সুনামগঞ্জের হাজিপাঁড়াস্থ রাজিব এন্টারপ্রাইজ । ব্যয় ধরা হয় ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে একটি  বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকার মেস্তুরি বাড়ি সড়ক। ১ হাজার ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট ২ ইঞ্চি প্রস্থের  চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ থেকে সড়কটির কাজ শুরু হয়।

জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার রাজিব আহমদের মুঠোফোনে জানান, আমার অনুপস্থিতিতে দায়িত্বরত লোক নিম্ম মানের ইটগুলো আনে। তবে নিষেধাজ্ঞা আসায় সড়ক থেকে ওই ইটগুলো আমরা সরিয়ে নেই। তবে প্রথমদিকে ভালো ইট ব্যবহার করা হয়।

জগন্নাথপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ হেলাল আবেদীন বলেন, সড়কটি নির্মাণ করতে গিয়ে মানস্মত ইটের পাশাপাশি একগাড়ি নিম্ন মানের ইট আনা হলে আমাদের তদারকিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেগুলো ব্যবহার করতে পারেনি। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের তদারকি অব্যাহত থাকবে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এই সড়কটি নির্মিত হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি টিম তদন্তে এসে অনিয়ম পেলে বিল আটকাবে। এ ব্যাপারে পৌর প্রকৌশলীর তৎপরতা আছে । তৎপরতা আরো বাড়ানো হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত