০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ২৩:১০
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০২১ ও ২০২৪ সালে আরও দুটি নির্বাচন আয়োজনের কথা থাকলেও তা আর হয়নি। এর ফলে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দায়িত্বে আছে একই কমিটি। দীর্ঘদিন পর আবারও নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নেমেছে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সর্বস্থরের চা শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটিবৃন্দের আয়োজনে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের দাবিতে র্যালি, পথসভা সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
র্যালিটি প্রথমে ভাড়াউড়া চা বাগান থেকে শুরু করে কলেজ রোড হয়ে চৌমুহনী চত্বর প্রদক্ষীণ করে শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় চা শ্রমিকেরা।
এতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ভ্যালী কার্যালয় ও প্রাথমিক পর্যায়ের বাগান পঞ্চায়েত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়ন সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে ২৪ জুন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০২১ ও ২০২৪ সালে আরও দুটি নির্বাচন আয়োজনের কথা থাকলেও তা আর হয়নি। এর ফলে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দায়িত্বে আছে একই কমিটি।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্র কার্যালয়, ভ্যালি কার্যালয়, প্রাথমিক পর্যায়ের পঞ্চায়েত কমিটি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে গত ২৩ সালের ২৪ তারিখ প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে সরকার কর্তৃক মনোনীত করা হয়। চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের জন্য চা শ্রমিক ইউনিয়ন তহবিল হতে নির্বাচন করানোর জন্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা নির্বাচন তহবিলে জমা করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় অদ্যাবধি বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন কার্যক্রম চালু করা হয়নি। ফলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন চা বাগানে পঞ্চায়েত কমিটি বির্তকের মুখমুখি হচ্ছে এবং কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক চা বাগানের শ্রমিক তার ন্যায় হক পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেকোন সময় শ্রমিকগণ নির্বাচনের জন্য কর্ম বিরতী করে রাজ পথে অবরুদ্ধ করতে পারে। তাই দ্রুত সম্ভব উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা পূর্বক পূর্বের ন্যায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের মত জরুরী ভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
পরে শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলামের হাতে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণে স্মারকলিপি প্রদান করেন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
আপনার মন্তব্য