সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ০১:১১

চাকরিও পাবে না যুদ্ধাপরাধীর সন্তানেরা

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘শুধু সম্পদ বাজেয়াপ্ত নয়, যুদ্ধাপরাধীর কোনো সন্তান সরকারি চাকরিও পাবে না। কেউ চাকরিতে থাকলে বরখাস্ত করা হবে। তারা জীবনে কোনোদিন ভোটে দাঁড়াতে পারবে না এবং ভোট দিতেও পারবে না। শুধু এদেশে বসবাস করবে কিন্তু কোনো অধিকার থাকবে না।’

শুক্রবার ময়মনসিংহের ত্রিশালের গোহাটা মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ময়মনসিংহ জেলা পুনর্বাসন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘অন্যায়, জুলুম ও লুট করে যুদ্ধাপরাধীরা যে সম্পদ অর্জন করেছে তা বাজেয়াপ্তের আইন হচ্ছে। লুট আর জুলুম করে অবৈধ সম্পদ নিয়ে তারা সুখে থাকবে আর জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা না খেয়ে মরবে, রিকশা চালাবে এটা হতে পারে না। জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন ওদের জন্য নয়। এ দেশের গণ মানুষের জন্য।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১০ হাজার টাকা করেছে। বছরে দুই ঈদে দুটি বোনাস দিবে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে ফ্ল্যাট দেয়ার ব্যবস্থা করছে। এসব বাস্তাবায়নের জন্য ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী জুলাই মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা, ওষুধপত্র ও সকল প্রকার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের যেসব স্থানে পাক হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে সেখানে একটি করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে করা হবে যেন আগামী প্রজন্ম স্মৃতিস্তম্ভ ও কবর দেখে বুঝতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি আর মুক্তিযোদ্ধার কবর।’

এর আগে, মন্ত্রী স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নির্মাণাধীন মুক্তিযোদ্ধা ভবন পরিদর্শন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা ময়মনসিংহ জেলা পুনর্বাসন সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মোমেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এএনএম শোভা মিয়া আকন্দ, ভালুকা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজিমুদ্দিন ধনু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে রাব্বি, উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি একেএম ফজলুল হক প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত