
০১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:০৯
আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া নির্দেশনাটি নিজেদের বক্তব্য নয় বলে আবারও জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।
বুধবার এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমাদের বক্তব্য নয়, পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবে না’।
সিলেট মহানগর এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারেন, মহানগরের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পুলিশ কমিশনারের দেওয়া এমন একটি নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই নির্দেনায় প্রতিদিন দুজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক।
বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের নতুন উদ্যোগ ‘জিনিয়া’ এ্যাপসের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই নির্দেশনা প্রসঙ্গে আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, আমি এখানে জয়েন করার পর থেকে বলছি যে, আমরা একটা মানবিক পুলিশ চাই। এবং আমাদের সকল অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে নিরীহ কোন ব্যক্তিকে কোন অবস্থায় যেন হয়রানি করা হবে না।
তিনি বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে যে সকল মামলা হয়েছে এবং যে সকল মামলায় অনেক অভিযোগ আসছে যে তাদেরকে হয়রানিমূলকভাবে এই মামলাগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা যাচাই বাছাই করে তাদেরকে চার্জশীটি দেওয়ার আগেই বাদ দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি গতকাল। আমাদের এই কাজটা অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আমি আমার নীতিটা আবার পরিষ্কার করছি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবে না। আমাদের আইনগত যে দায়িত্ব আছে আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রেখে এই কাজগুলো করে যাব। আমাদের কাজ হচ্ছে জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এই শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কোন ধরনের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ- এটা নীতিসিদ্ধ নয়। আমরা মানবাধিকারের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনার জন্য সকল অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, যেই কথাটা আসছে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে যেভাবে আসছে এগুলো আসলে কিভাবে আসছে আমি জানি না। এগুলো আসলে আমাদের বক্তব্য নয়। এবং এই ধরনের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী সিলেটটুডেকে বলেছিলেন, এই নির্দেশনায় কিছু শব্দগত ভুল থাকতে পারে। এটি সংশোধন করে আবার আমরা প্রেরণ করবো।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জিনিয়া এ্যাপ ১৬ অক্টোবর থেকে চালু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় এটি মোগলবাজার থানায় চালু হবে। এরপর পুরো নগরে বিস্তৃৃত হবে এই এ্যাপের কার্যক্রম।
পুলিশ কমিশনার জানান, এই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে নগরের যে কোন বাসিন্দা যেকোন পুলিশ সহায়তা চাইতে পারবেন।
নগরে ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ কোন কাজ করতে চাইলে সবসময়ই একটি পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানও চলমান আছে। এটি অবাহত থাকবে।
আপনার মন্তব্য