নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ মার্চ, ২০১৬ ২৩:১০

কোম্পানীগঞ্জে বিদ্রোহীতে আওয়ামী লীগের নৌকাডুবি

কোম্পানীগঞ্জের ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে ভরাডুবি ঘটেছে আওয়ামী লীগের। আওয়ামী বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়জয়কারে কোথাও জিততে পারে নি বিএনপি প্রার্থীরাও।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মাত্র ১ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছে। অপরদিকে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী সংখ্যা ৩, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ২ জন। উপজেলার কোন ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারে নি।

স্থানীয় সংবাদকর্মী, প্রার্থীদের এজেন্ট এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল মিয়া ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৬২৫৯ পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী  আওয়ামী লীগের মো.আলী আমজাদ পেয়েছেন  ৪৩৪০ ভোট।

পশ্চিম ইসলামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ মো.জামাল উদ্দিন ৫৮২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গেদা মিয়া পান ২৭৩৪ ভোট।

উপজেলার তেলিখাল ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী আবদুল আদুদ আলফু মিয়া ৩৭২৫ ভোট পেয়ে  বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এই ইউপিতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের আপ্তাব আলী ওরফে কালা মিয়া।  তিনি ২৯৪৫ ভোট পেয়েছেন।

ইছাকলস ইউপিতে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.কুটি মিয়া ৫০৩২ ভোট পেয়ে  বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী আওয়ামী লীগের একলাছুর রহমান ৩২০৮
ভোট পেয়েছেন।

উত্তর রনিখাই ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফরিদ মিয়া ৩৯০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের জালাল মিয়া পেয়েছেন ৩০৭২ ভোট।

দক্ষিণ রনিখাই ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো.সিদ্দিকুর রহমান রোকন আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১৬৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউপিতে তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন বিএনপির মো.আব্দুছ ছোবহান। তিনি পেয়েছেন  ২২৭৯ ভোট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত