নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:১৬

এবার ওসি সুহেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মামলা

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতা।

মামলার বাদি মনজুরুল ইসলাম মজনু নগরীর রায়নগর রাজবাড়ি এলাকার আবদুল ওয়াহিদের ছেলে। মামলার এজাহারে নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন মজনু।

সোমবার দুপুরে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলা নং- সিআর-৪৩৬/১৬।

এর আগে রোববার বিকেলে ওসির বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়ত সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

মামলায় ওসি সুহেল ছাড়াও কোতায়ালী থানার সেকন্ড অফিসার ফয়েজ আহমদ এবং লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবদুল কাদিরকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জন পুলিশ কনস্টেবলকে আসামী করা হয় মামলায়।

মামলার অভিযোগে বাদি উলে­খ করেছেন, গত শনিবার তিনি রাজনৈতিক সভার জন্য যান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজের বাসায় যান। সভা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী স্বপন দেব, জুনেদ, জাহেদুল, সাজ্জাদসহ নগরীর লালাদিঘীর পূর্বপারে পৌঁছামাত্র কোতোয়ালি থানার ওসি সুহেলের নির্দেশে মামলার অন্যান্য আসামিরা তাদের উপর হামলা চালায়।

এসময় ওসি সুহেল স্বপন দেবকে ধরে ফেলেন। স্বপন দেব নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে বাসায় যেতে চাইলে ওসি এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বপন দেবের মাথায় হাতে থাকা লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ি দেন ওসি সুহেল। এসময় রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্বপন। পরে ওসির সাথে থাকা সেকন্ড অফিসার ফয়েজ ও এসআই আবদুল কাদির লাঠি দিয়ে স্বপনকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন।

বাদি মনজুরুল ইসলাম আরো উলে­খ করেছেন, এসময় সাথে থাকা অন্যদের নিয়ে তিনি অনুনয় জানালে আসামিরা তাদেরকেও লাঠিপেটা করেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি সুহেল ও মামলার অন্যান্য আসামিদের সাথে সিলেটের বিভিন্ন অপরাধী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর কানেকশন রয়েছে বলেও বাদি মনজুরুল ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

বাদিপক্ষের আইনজীবী গোলাম ইয়াহইয়া চৌধুরী সুহেল জানান, মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

আদালতে বাদিপক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে এডভোকেট আলাউদ্দিন ও প্রবাল চৌধুরী পুঞ্জনও ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত