নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ মে, ২০১৬ ১৪:৪৫

গ্যাস সংযোগ দিন, নতুবা আন্দোলন

বিসিকের শিল্প উদ্যোক্তাদের হুশিয়ারি

নতুন শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ না পেলে আন্দোলনে নামার হুমকী দিয়েছেন সিলেট বিসিকের শিল্প উদ্যোক্তারা। গ্যাস সংযোগের অভাবে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনে যেতে পারছে না বলেও অভিযোগ তাদের। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান বিসিরে শিল্প মালিকরা।

শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ প্রদানের দাবিতে সোমবার ‌দুপুরে সিলেট নগরীর গোটাটিকর বিসিক শিল্প মালিক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান শিল্প মালিকরা। বিসিকের ফিজা টাওয়ারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই বিসিকে ৬২টি শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ২৫শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এসব কারখানা থেকে বছরে ১০৭.২ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদিত হয়। এখন আরো নতুন কয়েকটি শিল্প কারখানা বিসিকে গড়ে উঠেছে কিন্তু গ্যাস সংযোগের অভাবে এই কারখানাগুলো উৎপাদন শুরু করতে পারছে না।

সরকারের গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের ফলে নতুন শিল্প কারখানাকে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা। শিল্প মালিকরা বলেন, যেসব প্লটে গ্যাস সযোগ দেওয়া হচ্ছে না সেগুলোতে আগে সংযোগ ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি মালিক ও শিল্পের ধরণ পরিবর্তন হওয়ায় এখন আর সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে না। বিসিকের নতুন প্রািতষ্ঠিত ফিজা, রসমেলাসহ আরো করেয়কটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করতে পারছে না বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এছাড়া বিসিক শিল্প এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও এখানে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না বলে জানান মালিক সমিতির নেতারা। বিদ্যুতের আসা যাওয়ার কারণে কল কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয় এবং জেনারেটর ব্যবহার করে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হয় বলে জানান তাঁরা।

বিসিকের ভেতরের ভাঙ্গাচুরা সড়ক ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। সিটি করপোরেশন ও বিসিককে কর পরিশোধ করলেও সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারে তারা আন্তরিক নয় উল্লেখ করে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বৃষ্টি হলেই বিসিকের ভেতরে হাটু পানি জমে যায়। আর সড়কগুলো তো যানবাহন চলাচলের একেবারে অনুপযোগী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আলীম ইন্ডাস্ট্রির ভাইস চেয়ারম্যান আলীমুল এহসান চৌধুরী। এসময় মালিক সমিতির সভাপতি কাজী মঈনুল ইসলাম, আলীমুছ ছাদাত চৌধূরী,  তারেক চৌধূরী,  মঈনউদ্দীন, নুরুল ইসলাম সুমন, কাজী মোঃ জয়নুল হক, তজমুল আলী,  আব্দুল হাই, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ জিয়াউস সামস্, জওয়াহের হোসেন চৌধূরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আলীমুল এহসান চৌধুরী বলেন, শিল্পে গ্যাস সংযোগ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান না করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

নতুন প্রতিষ্ঠিত শিল্প কারখানা ফিজা এন্ড কোং’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমি ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এখানে কারখানা স্থাপন করেছি। এখন গ্যাস সংযোগের অভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারছি না। আবার ব্যাংকে মাসে মাসে কিস্তিও দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেউলিয়া হয়ে যেতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত