নবীগঞ্জ সংবাদদাতা

০৯ মে, ২০১৬ ১৭:০০

নবীগঞ্জে বকেয়া টাকা আদায় করতে গিয়ে হামলা, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আহত ৩

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসে চাকুরীর পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে হামলা ও তছনছের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় নির্বাচন কর্মকতাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাঈম , সহকারী মনিরুল ইসলাম ও রিয়াজুল হক রাজু।

জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন অফিসে মাষ্টার রুলে চাকুরী করে আসছিল পৌর এলাকার গন্ধা গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে আবুল কাশেম। পরে তার চাকুরী চলে যায় এবং এই পদে আরেক জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নবীগঞ্জ নির্বাচন কমিশনের নিকট তার বেতনের ২৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল বলে জানায় কাশেম।

নবীগঞ্জ নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাঈম জানান, কামেশ সেচ্ছায় চাকরী ছেড়ে চলে যায় এবং তার পদে রাজু নামের আরেক জনকে চাকুরী দেওয়া হয়। এর পর থেকেই রাজুর সাথে কাশেমের বিরুধ চলে আসছিল। গতকাল সোমবার সকালে কাশেম ও তার লোকজন নির্বাচন অফিসে গিয়ে রাজুকে মারপিট করার চেষ্টা করলে আমি বাধা দেই। পরে তারা আমাকেসহ অফিসের স্টাফদের উপর হামলা চালায় এবং আহত করে।

তবে কাশেম জানিয়েছেন, সে সার্কুলারের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে কাশেম চাকুরীতে যোগ দেয়। পৌর নির্বাচনের পর থেকে নবীগঞ্জ নির্বাচন কমিশনের নিকট তার বেতনের ২৫ হাজার টাকা রয়ে যায়। এর পরে তাকে বাদ দিয়ে পুরুষোত্তম পুর গ্রামের রিয়াজুল হক রাজুকে চাকুরী দেওয়া হয়। গত ৫ মাস যাবৎ কাশেম তার পাওয়া টাকা চাইতে গেলে নির্বাচন কর্মকর্তা দেই দিচ্ছি বলে কাল ক্ষেপন করতে তাকেন।

সোমবার সকালে কাশেম নির্বাচন অফিসে গিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাঈমের নিকট তার পাওনা টাকা চাইলে তাকে ১ হাজার টাকা দেন। এ সময় কাশেম তা নিতে রাজি হয়নি। সে বলে আমার ২৫ হাজার টাকা পাওয়া ১ হাজার নেব কেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে নির্বচন কর্মকর্তার নির্দেশে রিয়াজুল হক রাজু অফিসের দরজা বন্ধ করে তাকে বেধরক মারপিট করে বলে অভিযোগ করে আবুল কাশেম। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে কাশেম ২ ভাই আসলে তাদের সাথে হাতাহাতি হয়। এতে নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাঈম (৪০), সহকারী মনিরুল ইসলাম ও রিয়াজুল হক রাজু আহত হন। তাদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন খান, পানি সম্পদ কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত