নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ মে, ২০১৬ ১৮:২৪

বাঘায় নির্বাচনী কাজে বাঁধা, চেয়ারম্যানের ভাতিজাসহ গ্রেফতার ৬

গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে নির্বাচনীকাজে বাধা প্রদানের মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে নবনির্মিত চেয়ারম্যান ছানা মিয়ার ভাতিজা নাজমুল ইসলামও রয়েছেন। তাকে সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা যায়, গত ৭ মে বাঘা ইউনিয়নের নির্বাচনে পূর্ব বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ও ছানা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় নির্বাচনী কর্মকর্তারা লিখিতভাবে কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না দিয়েই চলে আসতে চাইলে ছানা মিয়ার সমর্থকরা ইউনিয়নের গৌরাবাড়ি নামক স্থানে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে। এসময় পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

ব্যালট বাক্স নিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তারা কিছুদূর এগোনোর পর খালোপাড় নামক স্থানে ফের তাদের অবরুদ্ধ করে উত্তেজিত সমর্থকরা। এসময়  আতাউর রহমান ও ছানা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। সন্ধ্যার পর সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধশতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় এক আনসার সদস্য, কয়েকজন পুলিশ সদস্য, সমর্থকদের কয়েকজন আহত হন।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিবলী আহমদ বলেন, ৭ মে ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় সোমবার দুপুরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ছানা মিয়ার ভাতিজা নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত