নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ আগস্ট, ২০১৬ ১৯:৫০

পুলিশই প্রথম ছাত্রলীগ নেতাদের উপর আঘাত করে, দাবি জাকিরের

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ প্রথম আঘাত করে, তারপর ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।

সেমাবার রাতে নগরীর আম্বরখানায় পুলিশের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় এমন মন্তব্য করেন জাকির। এঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। এরপর পুলিশ কেন্দ্রীয় এক নেতাসহ ১০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে জাকির হোসাইন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার শোনার পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আমি আলাপ করেছি। এই ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত এবং ভুলবোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে।

স্থানীয় নেতাদের বরাত দিয়ে জাকির বলেন, “ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সুফি (মাসুদ কামাল সুফি) ও অন্যান্যরা হযরত শাহজালালের ওরসে যাচ্ছিলো, পথে তাদেরকে পুলিশ আটকায়। তারপর পুলিশই প্রথম ছাত্রলীগের উপর আঘাত করে। এরপর তারাও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সাথে সংঘাতে জড়ায়”।

তবে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সিলেট পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন জানিয়ে জাকির হোসাইনন বলেন, “আমি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি, পুলিশ কমিশনারের সাথেও যোগাযোগ করে তাকে অনুরোধ করেছি যে আসল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে, তবে সাধারণ নেতাকর্মীদের যেনো এ ঘটনায় হয়রানি করা না হয়”।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর আম্বরখানায় পুলিশের উপর হামলা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। হযরত শাহজালাল (র.) এর ওরশ উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আম্বরখানা পয়েন্টে দেয়া ব্যারিকেড না মেনে মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ কামাল সুফির নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী মাজারের দিকে যেতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয় পুলিশ। পরে সুফির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং এ ঘটনায় ৬জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।

সে সময় চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ ব্যারিকেডে মোটর সাইকেল নিয়ে যেতে বাধা দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা “আমরা ছাত্রলীগের ছেলে, আমরা কেনো যেতে পারবো না” বলে পুলিশের উপর চড়াও হন। এ সময় আরো কর্মীদের ডেকে এনে পুলিশের উপর হামলা করা হয়।

পরে তারা মিছিল করে সুনামগঞ্জ রোড দিয়ে চলে যাবার সময় দুটি ট্রাক ও কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে বলেও জানায় পুলিশ।

এ হামলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহীন, সহকারি উপ-পরিদর্শক আজিজ, ফরহাদ ও কন্সটেবল আব্বাসসহ ৬ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হোন। ওই রাতেই উপ-পরিদর্শক শাহীন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ কামাল সুফিসহ ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার দিনের মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা সুফিসহ ১০জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত