নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

২৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০

নবীগঞ্জের হত্যা মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃত আসামি সুজন দাশ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামী সুজন দাশ (৩০) কে প্রায় ১ বছর পর ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ভোরে তাকে গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরন করেন।

গ্রেপ্তার সুজন দাশ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সুখলাল দাশের ছেলে। বিগত ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সনের ১২ নভেম্বর জগন্নাথপুর গ্রামের শচীন্দ্র দাশের ধানের গোলা থেকে সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র অনুজ কান্তি রায়ের (২১) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অনুজের পরিবারের দাবি ছিল এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।

নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের অখিল রায়ের ছেলে অনুজ সিলেট মদন মোহন কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি সিলেটে হোস্টেলে থেকে লেখা পড়া করতেন। হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পুর্বে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন অনুজ। ওই বছরের ১১ নভেম্বর তারিখে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশে নিজ বাড়ি থেকে রওয়ানা হন।

পরদিন ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন কলেজ ছাত্র অনুজের লাশ দেখতে পান একই গ্রামের শচিন্দ্র দাশের ধানের গোলায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অনুজের মৃতদেহ সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এস আই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অনুজের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে লাশ প্রেরন করা হয়। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহতের মা সবিতা রানী রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অনুজের পরিবারের লোকজনের দাবীর প্রেক্ষিতে একই গ্রামের সুখলাল দাশের ছেলে সুমন দাশকে আটক করে পুলিশ। পরে সুমনের স্বীকারোক্তি মতে নির্জন একটি স্থান থেকে নিহত অনুজ রায়ের কাপড়ের ব্যাগ এবং সুমনের মা নিয়তী রানী দাশ ও বোন শিল্পী রানী দাশের স্বীকারোক্তি মতে মানি ব্যাগ ও নগদ টাকা উদ্ধারসহ উক্ত ৩ জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য আসামিরা পলাতক থেকে যায়।

বৃহস্পতিবার গোপন সুত্রের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই সুদ্বীপ রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সহযোগিতায় ফতুল্লা থানার লালখার এলাকা সংলগ্ন হাজীর মোড়স্থ এক ভাড়াটে বাসা থেকে সুজন দাশকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অপর সন্দেহভাজন আসামি ইমন দাশ, রিপন দাশ ও লিকসন দাশ এখনো পলাতক রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত