নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৭:২৫

আ. লীগ-বিএনপি-হেফাজত, রোহিঙ্গাদের জন্যে এককাতারে সবাই!

রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্যে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।  শুক্রবার দুপুরে সিলেট নগরীতে আয়োজিত এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-হেফাজতসহ সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানান।

এই সমাবেশ থেকে সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাম্প্রতিক অতীতে সিলেটের বিভিন্ন দলের নেতাদের এভাবে একই সমাবেশে একই সুরে কথা বলতে দেখা যায় নি।

শুক্রবার দুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এই সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট মহানগর ইমাম সমিতি।

সমাবেশে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিযঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানান।  নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান কামরান।

কামরান বলেন, ‘অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার দাবি এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের। সরকার প্রধান ও বর্তমান সরকার এসব অসহায়দের আশ্রয় দেয়ারও চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষও সরকারকে সহযোগিতা করবে।’

তিনি বলেন- বিশ্বের কোথাও মুসলমান হত্যা  হলে জাতিসংঘ শক্তিশালী ভূমিকা রাখে না। আমরা জাতিসংঘের মায়াকান্না দেখতে চাই না। অবিলম্বে জাতিসংঘকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে মিয়ানমারে মুসলমান হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মহানগর আ্ওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদ ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এই সমাবেশে একজন মুসলমান হিসাবে ইমানী দায়িত্ব পালন করতে আমি উপস্থিত হয়েছি। এই গণহত্যা ও রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করতে মায়ানমান সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জাতিসঙ্ঘের ভূমিকার সমালোচনাও করেন তিনি।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতিন হয়ে রোহিঙ্গারা আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশ আসে বিজিবি তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। যা অমানবিক।

সিলেট মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ক্বারী সিরাজুল ইসলাম পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও হেফাজত নেতা সাবেক সাংসদ এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল হাই কাইয়ূম, মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা হাফিজ মনছুরুল হাসান রায়পুরী, সেক্রেটার সৈয়দ শামীম আহমদ, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অধ্যক্ষ হাফিজ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা ও সিসিকের প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, কাউন্সিলর দেলওয়ার হোসেন সজিব, কর্ণেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিলেট মহানগর সেক্রেটারী আলহাজ্ব এমরান আলম, খেলাফত মজলিশ মহানগর সেক্রেটারী কে.এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল হান্নান তাফাদার, দেওয়ান মাসুদ রাজা চৌধুরী, ইমাম সমিতির জেলা সেক্রেটারী মাওলানা জালাল উদ্দিন ভুইয়া, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা সদরুল আমীন, প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আহমদ হোসাইন, মাওলানা আছলাম রহমানী, ডাঃ হাবিবুর রহমান, এহসানুল হক তাহের, মাওলানা জহুরুল হক, সৈয়দ আব্দুল হাফিজ, মাওলানা কারী শহীদ আহমদ, মুফতী আব্দুর রহমান শাহজাহান, আলহাজ¦ বাবর বখত, মাওলানা হাফিজ আব্দুস সামাদ, মাদানী কাফেলার সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, মাওলানা আশিকুর রহমন, সৈয়দ উবায়দুর রহমান, মাওলানা মুশতাক ফুরকানী, মহানগর ছাত্র জমিয়তের সভাপতি বাহা উদ্দিন বাহার, মুজাহিদুল ইসলাম, হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার, হাফিজ আব্দুল করিম হেলালী, মাওলানা আবু সুফিয়ান, আবুল খয়ের, হাফিজ কবির আহমদ, হাফিজ মনছুর বিন সালেহ প্রমুখ।

সমাবেশের আগে নগরীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে ইমামদের নেতৃত্বে মুসল্লিগণ, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত