বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৮:৪৪

বিশ্বনাথে জমি নিয়ে ২ ভাইয়ের বিরোধ, ধানক্ষেতে ১৪৪ ধারা জারি

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিলেটের বিশ্বনাথে ক্ষমতাসীন দলের দুই ভাই মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। দ্বন্ধের জেরে উপজেলার মইজপুর মৌজার প্রায় ১৬৫ শতাংশ ধানী জমিতে আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে বসবাসকারী দুই পক্ষে দুই ভাইয়ের একজন হচ্ছেন, দেওকলস ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি (বড়ভাই) আব্দুল গৌছ ওরফে গৌছ মাস্টার এবং ছোটভাই একই ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মুমিন।

মৃত হাজী আব্দুল গনির ছেলে আব্দুল গৌছের দাবি তিনি ওই জমির ক্রয়সূত্রে মালিক এবং অপরপক্ষ আব্দুল মুমিনের দাবি পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে তিনিসহ ৪ ভাই ওই জমির মালিক। জমি নিয়ে উভয় পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায়  মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে থানা পুলিশ আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এর আগে সোমবার থানা পুলিশের এসআই তোফাজ্জল হোসেন ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, এসআই তোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে ওই জায়গায় যেতে বারণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মইজপুর মৌজার ৯৫ নং জেএল’র ৫৭৮ নং খতিয়ান এবং ১১০৭ নং দাগের মোয়াজির ৪০শতাংশ, একই মৌজার একই খতিয়ানের ৮৪০ ও ৮৪১ দাগের মোয়াজি ৫০শতাংশ, ১০১০ দাগের মোয়াজি ৭৫ শতাংশসহ মোট ১৬৫ শতাংশ ধানী জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ২২ নভেম্বর আব্দুল গউছ বাদী হয়ে ছোটভাই আব্দুল মুমিন মেম্বারসহ ৪ ভাইকে অভিযুক্ত করে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং (৩১)। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, আব্দুল মুমিনসহ অপর ভাইয়েরা তাকে প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। যে কোনো সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

আব্দুল গউছ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর মইজপুর গ্রামের বিজন শুক্ল বৈদ্যের ছেলে মিলন শুক্ল বৈদ্যদের নিকট থেকে ২৮৯১/১৫ নং দলিলমুলে আদালতের মাধ্যমে ক্রয় করেছেন। সম্প্রতি ওই জমিতে ধান ফলানো হলে তার অপর ভাইয়েরা জমির ধান নিতে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

আব্দুল মুমিন সাংবাদিকদের জানান, আমার পিতা জীবিত থাকাকালীন সময়ে ওই জায়গার উপর মামলা ছিল। সে সময় আমার পিতা অনেক কষ্ট করে আসবাবপত্র বিক্রি করে মামলা চালিয়েছেন। পরবর্তীতে আমার বড়ভাই আব্দুল গউছ মামলার দায়িত্ব পেলে কৌশলে তিনি ওই জায়গা ক্রয় করে নিজের নামে নিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত