ছাতক প্রতিনিধি

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৯:২০

ছাতকে খোলা আকাশের নিচে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ পরিবার

ছাতকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি পরিবারের দিন কাটছে এখন অনাহার আর অর্ধাহারে। আগুনে এসব পরিবারের বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারগুলোর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের খাঁরাই গ্রামে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে পরিবারগুলোর বসত ঘর এবং যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় এসব পরিবারের সদস্যরা এক দিকে যেমন শীতে ধুঁকছেন অন্যদিকে পেটের ক্ষুধা তাড়া করছে তাদের। রাত হলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় মাথা গুঁজবেন এ চিন্তায় দিশেহারা তারা। কেউ কেউ গ্রামের অন্যের বাড়িতে ঠাই নিলেও অনেকেই স্ত্রী, সন্তান নিয়ে নিজ উঠানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান। গ্রামের কেউ কেউ দুমুঠো চাল, ডাল দিলেও হাড়ি-বাসন পুড়ে যাওয়ায় এগুলো রান্না করে খাওয়ারও অবস্থা নেই তাদের।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শাহিনুর বলেন, না পারছি পেটের ভাত জোগাড় করতে, না পারছি নূতন ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করতে। ক্ষতিগ্রস্ত মিলন বেগম বলেন, নূতন করে ঘর নির্মাণ করার মতো সামর্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি পরিবারের মধ্যে ১টি পরিবারেরও নেই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাহায্যার্থে এখন পর্যন্ত উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের কেউই আসেনি বলে জানান তারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, এনজিও সংস্থা এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আবেদন জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস সুমন এবং এসএম মাহমুদ আলী জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখ জনক। অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু পুড়ে ৬টি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। সরকারি সহায়তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তরা নূতন ঘর নির্মাণ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসার দাবি জানান তারা।

এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। উল্লেখ্য গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার খাঁরাই গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে গ্রামের শাহিনুর, আশিদ আলী, আব্দুল খালিক, মিলন বেগম, ফজলে নুর, শহিনুর সহ ৬টি পরিবারের বসত ঘর, জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এবং যাবতীয় মালামাল সহ সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত