নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২৩:৩২

মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে গ্রেপ্তার করা হয় কবিরকে

জিন্দাবাজারে কলেজ ছাত্র খুন

মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কবির আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর শাহবাগ থেকে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরআগে বুধবার রাতে কবিরকে ধরতে জামালপুরে অভিযান চালায় পুলিশ।

সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল হুদা আশরাফী বলেন, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম কবির জামালপুরে আছে। কিন্তু পুলিশের অভিযান টের পেয়ে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। এরপর আমরা নিশ্চিত হই কবির ঢাকার শাহবাগ এলাকায় আছে। ভোরে সেখান থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুঠোফোনে ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে কবিরের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে নিয়ে সিলেট পৌঁছার কথা জানান নুরুল হুদা।

তিনি জানান, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় খুনি শনাক্ত হলে এ ঘটনায় মিসবাহর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে কবিরসহ ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই কবির পালিয়েছিলো।

গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জিন্দাবাজারের কাস্টমস অফিসের সামনে প্রকাশ্যে মিসবাহ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মিসবাহ নসিলেট কমার্স কলেজ থেকে গতবছর এইচএসসি পাস করেন।

হত্যাকান্ডের পর নিহতের চাচা রেজাউল করিম সেবুল জানিয়েছিলেন, মিসবাহকে খুনের পর বন্ধু-সহপাঠীদের মাধ্যমে কবির নামে এক বন্ধুর সঙ্গে তার বিরোধ ছিল বলে তারা জানতে পারেন । কবির নামের ওই ছেলেটি নগরীর জিন্দাবাজারের কাজী ম্যানশনের একটি টেইলার্সে কর্মচারী বলে জানিয়েছেন তিনি। কবিরের সঙ্গে মিসবাহের যোগাযোগ ছিল বলে তারা আগে জানতেন না। গত রমজানে কবিরের সঙ্গে মিসবাহের বিরোধ হলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তা মিটমাট করে দেন বলে জানান রেজাউল করিম। পরবর্তীতে আর কোন বিরোধ না হলেও কবিরের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের উপস্থিতিতে মিসবাহকে খুন করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি দাবি করেন।

সিলেট কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা নিহত মিসবাহ উদ্দিন দোয়ারাবাজারের চন্ডিপুরের রহমত উল্লাহের ছেলে। বাবা জার্মান প্রবাসী হওয়ায় পড়ালেখার জন্য মা ও দুই বোনের সঙ্গে সে নগরীর মজুমদারী কোনাপাড়ার শ্রাবণী ৫৪ নম্বর বাসার ভাড়া থাকতেন। এক বছর আগে এইচএসসি পাস করলেও সেবার ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি মিসবাহ।

পুলিশ জানায়, কবিরের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বলধী গ্রামে। তিনি জিন্দাবাজার এলাকায় একটি দরজির দোকানে কাজ শিখছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত