সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২২:৪৯

সিলেট বধ্যভূমিতে আলো প্রজ্জ্বলন ও র‌্যালি

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার দৃষ্টান্ত বিরল। এত কম সময়ে একটি দেশে ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কোথাও হত্যা করা হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ ঘটনা প্রথম।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণহত্যার শিকারগ্রস্ত ও নির্যাতিত মানুষদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার শিকারদের স্মরণ ও মর্যাদাদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে প্রচার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নির্দেশনায় সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে গণহত্যার শিকারদের স্মরণ ও মর্যাদাদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বধ্যভূমিতে আলো প্রজ্জ্বলন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সৈয়দ মোহাম্মদ আমিনুর রহমান ও সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পীসংস্থা সিলেটের সভাপতি অনিল কিষণ সিংহ, যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নজমুল হোসেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাবেক জেলা সংগঠক মাহবুবুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট ফিল্ম সোসাইটির আহ্বায়ক নিরঞ্জন দে যাদু, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রানাকুমার সিনহা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সহসভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. সাহিদুল আলমসহ মুক্তিযোদ্ধা এবং  মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত