নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১৮:০৮

তদন্ত প্রতিবেদন ‘এই মূহূর্তে’ প্রকাশে অনীহা জেলা প্রশাসকের

শাহ আরেফিন টিলা ধ্বসে শ্রমিক নিহতের ঘটনার তদন্ত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা ধ্বসে শ্রমিক নিহতের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়লেও তা এখনই প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন। আরো মূল্যায়নের পর প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলে মন্তব্য করেন ডিসি।

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে এই তথ্য পেয়ে শুক্রবার রাত আটটার দিকে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাইরে ছিলাম। এইমাত্র বাসায় এসেছি। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে, এই তথ্যের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন- আমি জানি না, অথচ আপনি জানেন কি করে?

এই আলাপচারিতার মিনিট বিশেক পর রাত ৮টা বিশের দিকে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম।

এর ১০ মিনিট পর রাত সাড়ে ৮ টায় জেলা প্রশাসকের বাসায় গেলে তিনি প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে প্রতিবেদনে কি আছে তা জানাতে অনীহা প্রকাশ করে বলেন, 'সাংবাদিকদের সব তথ্য জানার কি দরকার?'

এ ব্যাপারে শনিবার দুপুরে ফের জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'তদন্ত প্রতিবেদনটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এটি মূল্যায়ন করছে। এখনো এটি একটি গোপনীয় দলিল। মূল্যায়নের পর তা প্রকাশ করা হবে।'

‌'আকাশে সূর্য উঠলে সবাই দেখতে পারবে', এসময় যুক্ত করেন জেলা প্রশাসক।

গত ২৩ জানুয়ারি শাহ আরেফিন টিলা ধ্বসে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত দল গঠন করে। এডিএম শাহেদুল ইসলাম এই তদন্ত দলের প্রধান।

তিনি প্রতিবেদনে, শাহ আরেফিন টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর তোলায় ৪৭ জন জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীরাও এতে ‘পরোক্ষভাবে’ জড়িত থাকার তথ্য ওঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

এডিএম শাহেদুল ইসলাম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয়রা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চায় না। তাই অনেক বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে আরো অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত