বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ২৩:৪২

বিশ্বনাথে শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় ক্লাস বর্জন : পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল বাহারকে পেটানোর ঘটনায় গত ৪দিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষক পেটানো আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঘটনার ৫দিনেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক আবুল বাহার ও প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল থানায় পাল্টা-পাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবালকে অভিযুক্ত করে শিক্ষক আবুল বাহার একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অপরদিকে লাইব্রেরিয়ান পদের সহকারী শিক্ষক আবুল বাহারকে অভিযুক্ত করে প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল আরেকটি লিখিত অভিযোগ দেন। পাল্টা পাল্টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও এখনও কোন মামলা আমলে নেয়নি থানা পুলিশ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষক আবুল বাহার একইভাবে আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবালকে অভিযুক্ত করে ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি দেন। ওইদিন সন্ধ্যায় বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনকে দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কিন্তু ৪দিনেও ওই তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেনা বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার।

তবে, রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন। তিনি সিলেটটুডে২৪ ডটকমকে বলেন, শিক্ষক আবুল বাহারকে না পাওয়ায় তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারছেন না।

এ প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএম বলেছেন, ইউএনও স্যার উপজেলা শিক্ষা-কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করাচ্ছেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত আমি মামলা নিতে পারছিনা।

ক্লাস বর্জনের ব্যাপারে প্রগতি উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক মহি-উদ্দিন মানিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শনিবার বিদ্যালয়ে ৪০/৫০জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকায় একটি ক্লাস নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে লাইব্রেরিতে ‘গাইড বই’ রাখা নিয়ে প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল ও সহকারী শিক্ষক আবুল বাহারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক আবুল বাহারকে কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত