নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১৯:০৯

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চের জাগরণ যাত্রা

গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। তবে গণজাগরণ মঞ্চের প্রয়োজনীয়তা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। বরং অসাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই চালিতে যেতে হবে।

বক্তারা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, সুরঞ্জিত সেন যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করে গেছেন গণজাগরণ মঞ্চও সেই লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

রোববার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের জাগরণ যাত্রা পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে সর্বস্তরের মানুষ। এই গণআন্দোলন পরবর্তীতে গণজাগরণ মঞ্চে রূপ নেয়। গণজাগরণের আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই আইন সংশোধন করে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোববার বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাগরণ যাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

আলোচনা পর্বের শুরুতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বক্তারা আরো বলেন, বক্তারা হেফাজতের নির্দেশনা মেনে পাঠ্যবই থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়েছে। পাঠ্যবইয়ের এই পরিবর্তন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য হুমকীস্বরূপ। বক্তারা পাঠ্যবইকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত রাখার দাবি জানান। একইসঙ্গে দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর রিভিউ রায় দ্রুত নিষ্পতির দাবি জানান।

বক্তারা সিলেট গণজাগরন মঞ্চের সক্রিয় কর্মী অন্তত বিজয় দাশ, জগৎজ্যোতি তালুকদারসহ গত চার বছরে উগ্রবাদীদের হাতে খুন হওয়া সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, দ্রুত এসব হত্যা মামলার বিচার দাবি করেন।

গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীন রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আরশ আলী, বাসদ সিলেটের সমন্বয়ক আবু জাফর,  সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মনির হেলাল, সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাশগুপ্ত প্রমুখ।

এতে অংশ নেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সাবেক সভাপতি খেয়াজ রহিম সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল মুনির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের অর্থ সম্পাদক নিলাঞ্জন দাশ টুকু, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব, কবি আবিদ ফায়সাল, নাট্যকর্মী রিপন চৌধুরী, ইন্দ্রাণী সেন সম্পা, দেবব্রত চৌধুরী লিটন, সুপ্রিয় দেব শান্ত,বিমান তালুকদার, হিতাংশু ভূষন কর বাবু, মিহির সেন, ইয়াকুব আলী, ছাত্র মৈত্রী সিলেটের সভাপতি স্বপন দাশ, সবুজ সনাতন পলাশ, অদিতি দাশ, রাজীব রাসেল, সৈয়দ রাসেল, রেদওয়ান আহমদ, অভি হাসান, বিপ্লব বণিক, অপু মজুমদার, উত্তরা সেন পম্পা, আবু কবর আল আমিন, সুমন চৌধুরী, নাবিল হোসেন, ফাহমিদা এলাহি বৃষ্টি, সাকিব চৌধুরী, মেঘদাদ মেঘ, উত্তম কাব্য প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত