৩০ মার্চ, ২০১৭ ২০:৩২
মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি বুধবার সকাল থেকে পুলিশ ঘিরে রাখার পর বিকেলে অপারেশন করে সোয়াট। অপারেশন শুরুর পর সন্ধ্যার দিকেই ভেতরে থাকা জঙ্গিরা আত্মহনন করে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
নাসিরপুরের অপারেশন হিটব্যাক শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ঘটনাস্থলের পাশে ১নং খলিলপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন ধারণার কথা জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ভেতরে খন্ড বিখন্ড ৭/৮ টি মরদেহ রয়েছে। এগুলো থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। ফলে মনে হচ্ছে, কাল সন্ধ্যার দিকে তারা সুইসাইড করে থাকতে পারে।
নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো এতো খন্ড-বিখন্ড হয়ে গেছে মোট কয়টি মরদেহ রয়েছে এবং কতজন নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। প্রতিটি দেহই অসংখ্য খন্ড খন্ড হয়ে ঘরের ভেতর পড়ে আছে।
মনিরুল বলেন, নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানার তথ্য আগে আমাদের কাছে ছিলো না। মৌলভীবাজারের বড়হাটের জঙ্গি আস্তানার ব্যাপারে তথ্য ছিলো। সেই বাসাটি ঘেরাও করার পর আমরা নাসিরপুরের তথ্য পাই।
নাসিরপুরের সন্দেহজনক বাসাটি ঘেরাও করার পর ভেতরে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেণেড ছোঁড়া হয়, বলেন মনিরুল।
তিনি বলেন, আমরা বাসাটি ঘিরে রাখার পর বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করে ঘরের ভেতরে কি পরিমান গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক রয়েছে তা সম্পর্কে একটি ধারণা সংগ্রহ করি। এরপর সোয়াট এসে অপারেশন পরিকল্পনা তৈরি করে।
সীতাকুন্ড ও সিলেটের আতিয়া মহলের জঙ্গিদের ব্যবহৃত বিস্ফোরকের সাথে নাসিরপুরের জঙ্গিদের ব্যবহৃত বিাস্ফোরকের মিল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে এরা একই গোষ্ঠি কী না তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এরা নব্য জিএমবির সদস্য হতে পারে বলে জানান তিনি।
মৌলভীবাজারের বড়হাট ও ফতেহপুরের আস্তানা দুটি জঙ্গিদের আত্মগোপনের আস্তানা ছিলো বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলিতে অবস্থিত অপর জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।
আপনার মন্তব্য