বড়লেখা প্রতিনিধি

৩০ মার্চ, ২০১৭ ২১:১৬

বড়লেখা পৌরশহরে জলাবদ্ধতা, দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরশহরে বৃহস্পতিবার রাতের টানা ৬ ঘন্টার বৃষ্টিতে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দোকানপাটে পানি ঢুকে অন্তত দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিক হয়েছে।

বানের পানিতে ৬টি কলোনির দেড় হাজার বাসিন্দার বসত ঘরে ৪-৫ ফুট পানি ঢুকেছে। নিউ সমনবাগ চা বাগানের একটি রাস্তার ১ কিলোমিটার এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এক হাজার চা শ্রমিক গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।

কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের পানিধার, কাঠালতলী ও দক্ষিণভাগ এলাকা ডুবে যাওয়ায় সকাল থেকে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পৌরমেয়র শহরের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সরেজমিনে পৌরশহরের বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পানির নীচে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়িঘরসহ দোকান-পাট। হঠাৎ করে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হওয়ায় অবর্ননীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন।

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ, সামছুল ইসলাম সমছু, মানিক মিয়া, আবু বক্কর, মাহবুবুর রহমান প্রমূখ জানান, সকাল আটটার দিকে দোকান খুলতে এসে দেখেন মালামাল দুই-তিন ফুট পানির নিচে রয়েছে। হাজী আলাউদ্দিন মার্কেটের ২৮০ টি, রেলওয়ে মাকের্টের ৬০টি, এজেন্সি মার্কেটের ২০, উত্তর চৌমোহনীর প্রবোদিনী মার্কেটের ৬টিসহ কলেজ রোড, দত্ত ম্যানশনের সহ¯্রাধিক দোকানে বৃষ্টির পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন ষাটমাছড়া, নিখড়ি ছড়াসহ বিভিন্ন খাল-নালা ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাষণ বন্ধ হয়ে প্রতিবছর মারাত্মক কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া পৌরশহরে অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেও অল্প বৃষ্টিতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও এব্যাপারে নেয়া হচ্ছে না স্থায়ী সমাধানর কোন উদ্যোগ।
পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জানান, পৌরশহরের উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত ষাটমাছড়া ভরাট ও কিছু স্থান দখল হওয়ায় এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র মাটি ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাষণে ব্যাঘাত ঘটছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত