মিনহাজ মির্জা, গোয়াইনঘাট

০৪ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:৫১

গোয়াইনঘাটে বাড়ছে পানি, কাঁদছে কৃষক

টানা বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। চৈত্র মাসের শুরু থেকেই গোয়াইনঘাট জুড়ে দেখা দিয়েছে অকাল বন্যা।

জমিগুলোতে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে বিনষ্ট হয়ে পড়েছে কৃষকের রোপায়িত ১৩’শ ২৮ হেক্টর জমির ইরি ও বোরোসহ রবি শষ্য। এতে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কয়েক সহস্রাধিক কৃষক পরিবার।

সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইরি ও বুরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল। তবে বর্তমানে এ অঞ্চলে অকাল বন্যায় দেখা দিয়েছে কৃষকদের আহাজারী।

সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার  ব্রামন হাওর, আসামপাড়া হাওর, বাউরভাগ হাওর, ভিত্রিখেল হাওর, তিতকলি হাওরসহ প্রায় ৮-১০টি হাওরে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেল কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় ১৩শ’ ২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।

কৃষক আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, আমি এবার ৩ একর জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম। অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে আমার সকল ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছি বিপাকে।

মানিক মিয়া, আক্কাছ আলী, কাওসার মিয়া সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এবার জমিতে আমরা ব্যাপক পরিমানে ইরি ও বোরো ধান চাষ করেছি, ফসল হয়েছিল ভালো। টানাবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের জমির ফসল।

কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, আকষ্মিক বন্যায় ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ইরি ও বোরো ধানসহ প্রায় ১৩’শ ২৮ হেক্টর ফসলি জমি নষ্ঠ হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এখানকার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষকদের ত্রান তৎপরতার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, পাহাড়ী ঢল ও  টানাবর্ষণে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ী ঢল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া কৃষকের জমির পরিমাণ যাচাই করে ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত