২১ নভেম্বর, ২০১৭ ১৭:২৪
দীর্ঘ এক যুগ পর আবারো অভিযান চালানো হয়েছে সিলেটের সুরমা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনায়। মঙ্গলবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এসময় বোলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় নদীর তীরে গড়ে তোলা ১৫টি দোকান।
এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ২০০৪ সালে তৎকালিন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের নির্দেশে সুরমা নদীর দুই পাড় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নির্মাণ করা হয় ওয়াক ওয়ে। তিনি বলেন, এতোগুলো বছর পার হলেও নদীর পাড়ে এতো দিন কেউ দখল করে দোকান-ঘর বসায়নি। মেয়র বলেন, কারাগারে আমি যখন বন্দি ছিলাম এই সুযোগে অবৈধ দখলদাররা আবারো নদীর পাড়ে দোকান-ঘর স্থাপন শুরু করে। তিনি বলেন, এখানে আর কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। আগের ওয়াকওয়ের সাথে সংযোগ করে এখানে নির্মাণ করা হবে ওয়াক ওয়ে। বাড়বে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য্য।
এর আগে মেয়র নগরীর বিলপাড়ে গাভিয়ার খাল, ছড়া ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানিয় কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, রকিবুল ইসলাম ঝলক, সেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি আফসার উদ্দিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মেয়র নগরীর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের সামনের রাস্তার উপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এছাড়া নগরীর নবাব রোড, শেখঘাট এলাকার রাস্তার উপর গড়ে উঠা অবৈধ দোকান-ঘর উচ্ছেদ করেন তিনি।
মেয়র জানিান, নগরীর ছড়া-খাল সর্ম্পূন্নভাবে পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব, সচিব বদরুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, সহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অংশনেন।
আপনার মন্তব্য