সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৬:৩৭

সিলেটে ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, দেশের স্বার্থে তরুণ প্রজন্মের মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্বন্ধে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই নেতা যার একক নির্দেশে কোটি বাঙালি একটি অস্ত্রসজ্জিত প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এটি বিশ্বে আর কোন নেতার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তিনি শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আরাফাত। স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠন ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ এর সমন্বয়ক কাসমির রেজা।

ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নন গোটা এশিয়ার নেতা ছিলেন। তিনি সার্কের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে তার সাথে আমি দেশ ভ্রমণ করেছি। তার চরিত্রে বিন্দুমাত্র কলঙ্ক দেখেনি। তাঁর সময়ে কোন দুর্নীতি হয়নি। তাঁর ক্ষমতায় থাকায় শেষ বছর ৭৪-৭৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৮ ভাগ। যা এখন পর্যন্ত আর কোন সরকারের আমলে হয়নি।

দীর্ঘ ১ ঘণ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা তিনি বলে যান, যা মন্ত্র মুগ্ধের মতো শুনছিলেন হলভর্তি দর্শক।

নিজের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি ৭৭ বছর বয়স্ক হলেও নিজেকে তরুণ মনে করি। আমার এখনো অনেক কিছু করার বাকী রয়েছে। তিনি তরুণদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সহযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তরুণদের বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”, “কারাগারে রোজনামচা” বইগুলো বেশী করে পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তাঁর জীবনসংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ. আরাফাত বলেন, জাতির জনকের আদর্শকে গণমানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার স্বার্থে সব বিভেদ ভুলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেন লোডশের্ডিং হচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশের বিদ্যুতের গ্রাহক ৪৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮০ শতাংশ করেছেন। বাড়তি ৩৭ ভাগ মানুষ যে বিদ্যুৎ পেল তাদের কথা কেউ বলে না। তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, তাদের কথা বলার কেউ নেই। আছেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর ও অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার দাস, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পৃথ্বিশ কান্তি ঘোষ, সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি অজয় কুমার রায়, অধ্যক্ষ এম.এ মতিন, এম. সাইদুর রহমান, নার্জেল হোসেন, রেদওয়ান আহমদ, নাবিদ হাসান প্রমুখ।

নন্দিতা দত্ত ও কাসমির রেজার যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল ‘গীতবিতান’। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার মোকাদ্দেস বাবুল, সাইমুম আঞ্জুম ইভান, সুকান্ত গুপ্ত ও গোলজার আহমদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত