নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০৭

টানা বৃষ্টিতে সিলেটে ব্যবসায় মন্দা

তিনদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই ক্রেতাসমাগম, ফলে অনেকটা অবসর সময় কাটাচ্ছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। সোমবার নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, টুকেরবাজার, রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, কালীঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রায় একই চিত্র দেখা যায়।

নিন্মচাপের প্রভাবে গত শনিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। যা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে রোদের দেখা মিলতে পারে।

টানা বৃষ্টির কারণে গত তিনদিন নগরীতে অনেকটা ছুটির আমেজ বিরাজ করে। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি তেমন ছিলো না। বিপনী বিতানগুলোও ছিলো অনেকটা ফাঁকা।

বন্দরবাজারে হাসান মার্কেট, সিটি মার্কেট ও মধুবন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা বসে বসে বেকার সময় পার করছেন। ক্রেতাসমাগম না থাকায় কেউ কেউ টেলিভিশন দেখছেন আর কেউবা খবরেরকাগজ পড়ে সময় পার করছেন।

মধুবন মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী ফজলুল হক টিপু বলেন, এমন দিনে দোকান না খুললেই ভাল হতো, ক্রেতারা একেবারেই নেই। এমন অবস্থায় লাভ দুরের কথা দোকান খরচ বের হয় কি না সন্দেহে আছি।

সিলেটের অন্যতম পাইকারি বাজার কালীঘাটে গিয়েও দেখা যায় একই অবস্থা। বৃষ্টির কারণে গাড়িতে পণ্যসামগ্রী উঠানামা করা যাচ্ছে না!  শ্রমিকরা টেলিভিশন দেখে ও লুডু খেলে সময় পার করছেন। যে জায়গায় শ্রমিকদের একটু বিশ্রামের সুযোগ পেতে কষ্ট হয়, যে জায়গায় তারা লুডু খেলে সময় কাটাচ্ছেন।

কালীঘাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনি সরকার বলেন, বৃষ্টির কারণে ব্যবসায়ীরা আসা যাওয়া করতে পারছেন না আর খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরাও আসছেন না। ফলে বিকিকিনি একেবারে নেই বললেই চলে। আর অবস্থা একইভাবে চলতে থাকলে আমদানি কমে পেঁয়াজের দাম আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

জিন্দাবাজারের বিপণী বিতানগুলোতেও একই অবস্থা। আল-হামরা শপিং সিটির পড়শী অপটিকস এর স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ দাশ বলেন, বিলাসদ্রব্য হিসেবে চশমার চাহিদা সবসময়ই একটু বেশি। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতাসমাগম একেবারেই কম।  আর ডিসেম্বর মাসে সবসময়ই ব্যবসা অন্য সময়ের তুলনায় একটু ভাল হয় কিন্তু এবছর তা আর হচ্ছে না।  হঠাৎ করে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে মার্কেটে প্রবাসীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত