দিরাই প্রতিনিধি

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৯:৩২

দিরাইয়ে স্কুল ছাত্রী হত্যা: এখনও গ্রেপ্তার হয়নি ‘ঘাতক’ ইয়াহিয়া

দিরাই উচচ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী হুমায়রা আক্তার মু্ন্নি হত্যার প্রধান অভিযুক্ত বখাটে মো. ইয়াহিয়াকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তানভির আহমদ নামের ইয়াহিয়ার এক সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় মুন্নীর মা রাহেলা বেগম বাদী হয়ে ইয়াহিয়া ও তানভরিকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তানবিরকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিলো পুলিশ। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত শনিবার রাতে ঘরে ঢুকে মুন্নিকে পড়ার টেবিলেই উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে ইয়াহিয়া। প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখাত হয়ে মুন্নিকে খুন করা হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। মুন্নি দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এই বিদ্যালয় থেকে আগামী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো তার।

এদিকে, মেয়েকে হারিয়ে তার মা রাহেলা বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মা আর আত্মীয় স্বজনের আহাজারি যেনো থামছেই না। সোমবার দুপুরে দিরাই পৌর শহরের মাদানী মহল্লার মুন্নিদের ভাড়া বাসায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

মুন্নির সহপাঠি রোবাইয়া আক্তার বলে, মুন্নি অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সে ৫ম শ্রেণীতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। অষ্টম শ্রেণীতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলো।

মুন্নির মা রাহেলা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন সাকিতপুরের ইয়াহিয়া ও তাড়ল গ্রামের তানভির বাসার দুতলায় উঠে আমার মেয়েকে আমার চোখের সামনে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমি চেষ্টা করেও মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি। তিনি বলেন, এর আগেও ওই দুই বখাটে আমার মেয়েকে বিরক্ত করতো, আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফা কামাল জানান, তানভিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে।

সোমবার সকালে মুন্নিদের বাড়িতে যান সিলেট জজকোর্টের এপিপি সামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই মামলাটি দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে ঘাতকের শাস্তি নিশ্চিত করতে আমি চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত