সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ১২:৫৯

কিবরিয়া হত্যার ১৩ বছর

আজ ২৭ জানুয়ারি, হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার ট্র্যাজেডির ১৩ বছর, ২০০৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঈদ পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৭০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। দীর্ঘ ১৩ বছর পেরিয়ে পূর্ণ হলোও সেই হামলার বিচার কাজ শেষ হয়নি এখনো। এতে হতাশা প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনরা ও হবিগঞ্জবাসী।

এ গ্রেনেড হামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ছাড়াও যারা নিহত হন তারা হলেন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। কিন্তু দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় ২ বছর পূর্বে।

আইনি জটিলতায় বিচারটি বিলম্বিত হচ্ছে জানিয়ে মামলার বাদী মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি বলেন, মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষী আছেন। আমি ইতোমধ্যেই বাদী হিসেবে আদালতে সাক্ষী দিয়েছি। কিন্তু নানা আইনি জটিলতার কারণে মাত্র ২৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে পেরেছেন।

ফৌজদারী আইনের বিধান অনুযায়ী সাক্ষী আদালতে হাজির হলে এবং আসামি জেল হাজতে থাকলে তাকে আদালতে হাজির করতে হয়। আসামি হাজির না করা গেলে সাক্ষী নেয়া যাবে না। এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা বিভিন্ন মামলার আসামি থাকায় তাদের ঠিকমতো আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় না। ফলে সাক্ষ্যও নেয়া যায় না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত