ছাতক প্রতিনিধি

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৫:০৮

ছাতকে পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে রসিদ ছাড়া জরিমানা আদায়ের অভিযোগ

পল্লী বিদ্যুৎ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের বিরুদ্ধে বিল পরিশোধের পরও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ রসিদ ছাড়া অতিরিক্ত জরিমানা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক কেএম জাহিদুল ইসলামের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের ব্যবসায়ীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে হাজী আয়বর আলী মার্কেটের তিন ভাই ও মায়ার সাগর সেলুনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান পল্লী বিদ্যুৎ এক নাম্বার লাইনের লাইন্সম্যান মাসুক মিয়া। এ সময় গ্রাহকরা তাদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নগদ পরিশোধ করেন। এর পরেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জরিমানা বাবদ মিটার প্রতি ২৪০০ টাকা করে আদায় করেন ওই কর্মকর্তা। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের রসিদ দিলেও জরিমানা বাবদ ২৪০০ টাকার কোন রসিদ দেয়া হয়নি।

পরবর্তীতে ব্যবসায়ীরা বিষয়টি মার্কেটের স্বত্বাধিকারী আবু জাহিদ মো. আব্দুল গাফফারকে অবগত করেন। এরই প্রেক্ষিতে মার্কেটের স্বত্বাধিকারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে পরবর্তীতে জরিমানা আদায় উল্লেখ না করে সাধারণ বকেয়া বিলে আরো দুটি রসিদ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য হুসাইন আহমদ লনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল আদায় ও সংযোগ প্রদানের নামে দীর্ঘদিন যাবত এ অফিসে চলছে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট। তাদের লাগামহীন ঘুষ বাণিজ্যে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান আখলাক বলেন, জানুয়ারি মাসে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ারের বাড়ীর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এভাবে অতিরিক্ত জরিমানার নামে গ্রাহকদের হয়রানিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি করতে তাদের ঘুষ বাণিজ্য অব্যাহত রাখছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, জরিমানা বাবদ ২৪০০ টাকার রসিদ দেয়া হয়নি বলে মার্কেটের স্বত্বাধিকারী আবু জাহিদ মো. আব্দুল গাফফার আমাকে মোবাইল ফোনে অবগত করেছেন। উভয়কে নিয়ে সরাসরি বসতে পারলে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করব।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক পীর মোহাম্মদ আলী মিলন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত