নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ মার্চ, ২০১৮ ১১:৪৬

তখন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল পুলিশ

বিভিন্ন সময়ে হুমকির মধ্যে থাকা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করে সরকার।

শনিবার শাবির মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সয়ও তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৩ পুলিশ সদস্য। তবে এসময় উপস্থিত থাকা তিন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুজনই তাদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ওই হামলাকারী যুবক ফয়জুরকে।

আর এরপর থকেই অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছে সেখানে উপস্থিত থাকা সকল ছাত্র-শিক্ষক।

নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নওশাদ সজীব জানান, জাফর ইকবাল স্যারের পাশে পুলিশ অবস্থান করতে দেখা গেলেও পুলিশ কোন তৎপর ভূমিকা পালন করে নি।

শাবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত একটি রোবটিক্স প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে শাবিতে গেলে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন তিনি।

তবে ছাত্র-শিক্ষক এ দাবি অস্বীকার করে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব মিয়া বলেন, হতো অনুষ্ঠানের বিরতির কোন এক সময় এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত করে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোন প্রমাণ মিলে তাহলে আমরা পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেবো।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে পেছন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত করেন আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক। পরে তাকে শিক্ষার্থীরা ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

আর অধ্যাপক জাফর ইকবালকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর রাতেই হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় পৌঁছেই ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত