সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:৩৯

পরিবেশ দূষণ বন্ধের দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন

সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের যোগীরগাঁওয়ে পরিবেশ দূষণ বন্ধে ও পঞ্চায়েতি কবরস্থান রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বাদ জুম্মা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের যোগীরগাঁও প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো. লিমিটেডের সামনে গ্রাম ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে একাত্বতা ঘোষনা করে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ শাহানুর, এড. নূরে আলম সিরাজী, শাবি-প্রবি’র সহযোগী অধ্যাপক শাহনূর আলম, জালালাবাদ থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এম উস্তার আলী, যুগ্ম আহবায়ক মনোহর আলী, ইউপি সদস্য তাজিজুল ইসলাম জয়নাল।

বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন এলাকার মুরুব্বি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান, আলতাব আলী, জমসিদ আলী, দিলয়ার হোসেন, কবির মিয়া, আনোয়ারুল হক, আব্দুল হক, ইদ্রিস আলী, আজাদ বক্স, মাইন উদ্দিন, আব্দুস সালাম, নূও মিয়া, আব্দুন নূর, সোয়াব আলী, মাস্টার আলী হোসেন, কালা মিয়া, মো. মনোয়ার খান, নূরুল হক, আব্দুল হামিদ, ফজল মিয়া, আব্দুল মজিদ, মকরম আলী, সুরুজ আলী, এশাদ আলী, আব্দুল বারিক, সাইফুল ইসলাম, নজির আহমদ, মখদ্দুছ আলী, আবুল মিয়া, আফরোজ আলী, মনফর আলী প্রমুখ।

মানববন্ধনে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক বলেন প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো. লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না করলে এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনে যেতে
বাধ্য হবে। প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো. লিমিটেডের সকল প্রকার ময়লা ও পানি পরিশোধন না করে উন্মুক্ত ভাবে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের খালে ছেড়ে দেয়ার কারণে ময়লা পানির দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এই রোড দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়াও যোগীরগাঁও গ্রামের কবর স্থানে ময়লা পানি প্রবেশ করার কারণে কবর স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করছে। এমন কি মানুষ মারা যাবার পর কবর খুড়তে গেলে পচা পানির গন্ধে কবর খুড়া সম্ভব হয় না। এতেকরে কোন মানুষ মারা গেলে অন্যত্র দাফন করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন অত্র এলাকাতে একটি কোম্পানি হয়েছে এটা এলাকাবাসীর জন্য ভালো একটি বিষয়। কিন্তু এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বাড়বে তা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। তাই এর একটি সুরাহা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত করার আহবান জানান তিনি।

মানববন্ধন চলাকালে এলাকাবাসী জানান, ইতোপূর্বে কর্তৃপক্ষের সাথে এলাকাবাসীর কয়েক দফায় আলাপ আলোচনা হয়েছে কিন্তু তারা সমস্যার সমাধান করবেন বলে শুধুমাত্র আশ্বাসই দিয়েছেন। বাস্তবে কোন উদ্যোগ নেননি। যার ফলে এলাকাবাসী গত ৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক ও জালালাবাদ থানায় স্মারক-লিপি প্রদান করেন। গত ১৬ এপ্রিল সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরেও আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এদিকে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মো. আবুল মিয়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জালালাবাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জালালাবাদ থানা অভিযোগটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন। যার ফলে এখন মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত