জামালগঞ্জ প্রতিনিধি

০৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১৭:৩৪

শাল্লায় চোলাই মদ তৈরিতে বাঁধা দেওয়ায় হামলা, আহত ১০

সুনামগঞ্জের শাল্লায় নারকিলা গ্রামে চোলাই মদ তৈরিতে বাধা দেওয়ায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৮ জন শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে সিলেট ওসমানীতে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার নারকিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদক ব্যবসা ও মদ তৈরিতে বাঁধা দেওয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গ্রামে দেশীয় চোলাই মদ তৈরি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকার মাঝি আব্দুর রহিম ও তার পরিবারের লোকদের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত একাধিক মামলার আসামি জাহাঙ্গীর, আমজদ, মতলিব, তোফায়েলসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। প্রায় ৫ মাস আগে মাদক ব্যবসায়ের বিরোধিতা করায় চক্রটি কলেজছাত্র পাভেলকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। সম্প্রতি গ্রামে মাদক তৈরি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় আব্দুর রহিম, জায়েদ মিয়া, আলমগীর, নিজাম উদ্দিন, আবেদ আলী ও মহসিন মিয়াসহ এলাকার কয়েকজন লোক এর প্রতিবাদ করেন। তারা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশকেও অবগত করেন। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় অতর্কিত আব্দুর রহিমের বাড়িতে এসে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা। তাদের অতর্কিত হামলায় আব্দুর রহিম, যায়েদ মিয়া, আলমগীর, নিজাম উদ্দিন, আবেদ আলী, মহসিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের সন্ধ্যায় শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকার মাঝি আব্দুল করিম বলেন, আমরা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার। এর আগে আমার কলেজছাত্র আত্মীয় প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করেছিল। এখন আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের উপরও সংঘবদ্ধ হামলা হয়েছে।

আবদুল করিম ও মহসিনকে সিলেট ওসমানীতে রেফার্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।

শাল্লা থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই গ্রামের কয়েকটি পরিবার লুকিয়ে দেশিয় চোলাই মদ তৈরি করে বলে অভিযোগ আছে। আমি আসার পর তাদের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে গতকাল (রোববার) কিছু মানুষ প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ীরা তাদেরকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত