সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৪:৫৪

শ্রীমঙ্গলের রাবার কাঠ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে বছরে আয় ৩ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফআইডিসি) রাবার কাঠ প্রেসার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে এক বছরে আয় হয়েছে ৩ কোটি টাকার বেশি। এর থেকে খরচ বাদে মুনাফা হয়েছে ২৪ লাখ টাকা। শ্রীমঙ্গলের নোয়াগাঁওয়ে প্রকল্প হিসেবে ২০১৭ সালে ৮ ডিসেম্বর প্লান্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। আর রাজস্ব খাতের আওতাভুক্ত হয় গত বছরের জুলাইয়ে।

ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সূত্রে জানা গেছে, এখানে অর্থনৈতিক জীবনচক্র হারানো রাবার গাছের কাঠকে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী টেকসই কাঠে রূপান্তর করা হয়। প্লান্টটি প্রতিদিন ১৬০ ঘনফুট হিসেবে বছরে ৪৮ হাজার ঘনফুট কাঠ প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম।

এখানে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে রাবার গাছ প্রক্রিয়াজাত হয়েছে ৩৪ হাজার ঘনফুট। যা বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পাধীন অবস্থায় প্রক্রিয়াজাত করা হয় ২ কোটি টাকা মূল্যের ২৩ হাজার ঘনফুট কাঠ। আর জুলাইয়ে রাজস্ব খাতের আওতায় আসার পর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার ১১ হাজার ঘনফুট কাঠ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এ থেকে মোট মুনাফা হয় ২৪ লাখ টাকা।

বাগান থেকে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পর্যন্ত পৌঁছতে এক ঘনফুট কাঠের জন্য খরচ হয় ৩০০ টাকা। এর থেকে প্রতি ঘনফুটের জন্য ১৭৩ টাকা পায় রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রক্রিয়াজাতে খরচ হয় আরো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে ঘনফুটপ্রতি প্রক্রিয়াজাত রাবার কাঠের মূল্য দাঁড়ায় ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। যা ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

বিএফআইডিসির আওতাধীন মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চারটি রাবার বাগান রয়েছে। এসব বাগানের প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার রাবার গাছের অর্থনৈতিক জীবনচক্র এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। জ্বালানি হিসেবে গাছগুলো বিক্রি করলে এর মূল্য হতো প্রায় ৪ কোটি টাকা। তবে ট্রিটমেন্ট প্রক্রিয়ায় আনার কারণে গাছগুলোর বাজারমূল্য ৭৪ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে অবকাঠামোর মধ্যে এ সেট বয়লার, আটটি সিজনিং চেম্বার, দুই সেট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও চারটি কাঠচেরাই মেশিন রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। ৬০ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৮ জন।

ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জেনারেল ম্যানেজার জামিল আক্তার বকুল বলেন, রাবার গাছ সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা গেলে দারুণ টেকসই হয়। যা সেগুন কাঠের মতো আসবাব শিল্পে ব্যবহার করা যায়। তাদের প্রক্রিয়াজাত কাঠ বিএফআইডিসির বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান কিনে থাকে। সক্ষমতার ঘাটতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে এটি চালু হয়। মাঝখানে রাজস্ব খাতে যাওয়ার পর লোকবল নিয়োগসহ বিভিন্ন কারণে সময় নষ্ট হয়েছে। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আমরা পূর্ণ সক্ষমতায় আছি।

খবর: বণিক বার্তা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত