সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৮:৩১

অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করবে সিলেট চেম্বার

গারকো-ফাস ইউকে’র প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়

সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাথে বাংলাদেশ সফররত গারকো-ফাস ইউকে’র প্রতিধিদলের মতবিনিময় সভা রোববার বিকেলে চেম্বার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় বলা হয় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য ভবনের সেফটি এন্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু নির্মিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভবনেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। যার ফলে অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির ঘটনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ। এতে গারকো-ফাস ইউকে’র পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ান-বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও গারকো-ফাস ইউকে’র বিজনেস এডভাইজার ড. ওয়ালি তছর উদ্দিন এমবিই, গারকো-ফাসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিঃ মাইকেল এন্ডারসন, লিড কনসালটেন্ট ইউকে এন্ড ইউরোপ মিঃ ডগলাস স্যাম্পসন।

সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার সিপার আহমদ গারকো-ফাসের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি সম্প্রতি চকবাজারে অগ্নিকান্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বিগত দিনে বেশ কয়েকটি অগ্নিকান্ডে ১৫শর অধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যা খুবই দুঃখজনক। তিনি গারকো-ফাসের অগ্নি প্রতিরোধক কার্যক্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সিলেট চেম্বার অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, সিলেট চেম্বার দেশে প্রবাসী বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তিনি গারকো-ফাসের প্রোডাক্ট সিলেটে উৎপাদন করে দেশে এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে রপ্তানীর প্রস্তাব করেন। এব্যাপারে তিনি সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভায় গারকো-ফাস ইউকে’র বিজনেস এডভাইজার ড. ওয়ালি তছর উদ্দিন বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও আবাসিক ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য গারকো-ফাস কাজ করছে। ভবন নির্মাণকালীন সময়ে ফায়ার প্রটেকশন, বিল্ডিং এর সেফটি ও সিকিউরিটির জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে গারকো-ফাস মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে চায়। তিনি বলেন, সিলেটের অধিকাংশ ভবনেরই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা উন্নত নয়। রোগী, শিক্ষার্থী এবং মানুষের জান-মালের সেফটি এবং সিকিউরিটি পর্যাপ্ত নয়। যেকোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে। এজন্য আমাদের জ্ঞান এবং সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন ভবনের সেফটি এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থা নেই। এই ভবনটিকে আমারা পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে গ্রহণ করে সেফটি এবং সিকিউরিটির ব্যবস্থা করে দেব। এই প্রকল্প থেকে সিলেট চেম্বারের মাধ্যমে অনেকেই সম্পৃক্ত হয়ে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পাবেন।

সভায় গারকো-ফাসের লিড কনসালটেন্ট মিঃ ডগলাস স্যাম্পসন বলেন, ভবন করার সময়ই অগ্নি প্রতিরোধক ও সেফটি এন্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করবে গারকো-ফাস। তিনি উদারহরণ দিয়ে বলেন, আমরা যদি একটি রুমকে সিকির্উড করতে পারি তাহলে পুরো বিল্ডিংকে সিকির্উড করতে পারবো। এধরণের পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ দেবে গারকো-ফাস।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, পরিচালক জিয়াউল হক, মোঃ সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (ভূট্টো), মুশফিক জায়গীরদার, চন্দন সাহা, মোঃ আব্দুর রহমান জামিল, মোঃ আতিক হোসেন, মুজিবুর রহমান মিন্টু, প্রতিনিধিদলের সদস্য সাজেদ মিয়া, সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম, হোসেন আহমেদ, সামিয়া চৌধুরী, জাহানারা ইয়াসমিন, মোহাম্মদ কবির উদ্দিন প্রমুখ। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত