কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:৫২

গাছ চুরি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করা হবে: বন ও পরিবেশ মন্ত্রী

বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বনের গাছ চুরিতে বনকর্মী ও পাহারাদার জড়িত থাকলে তদন্তক্রমে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন্যপ্রাণী প্রাণী ও বনাঞ্চল রক্ষায় গাছ চুরি প্রতিরোধে প্রয়োজনে জিরো টলারেন্সের মাধ্যমে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় মৌলভীবাজাররে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন ও কিছু বন্যপ্রাণী অবমুক্ত এবং কিছু ফলজ বৃক্ষ রোপণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন একথাগুলো বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণী রক্ষায় তাদের খাদ্য উপযোগী ফলজ গাছ লাগাতে হবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রামগুলোর মানুষজনের হাত থেকে বনকে রক্ষায় গ্রামবাসীদের সরিয়ে আলাদা আবাসন তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।

মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিকাল ৪টায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করে আধা ঘণ্টার একটি একটি ট্রেইলে (পাহাড়ি পথে) সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে হেটে বিকাল সাড়ে ৪টায় কিছু বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করেন।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অবমুক্ত করা প্রাণীগুলোর মাঝে ছিল ২টি অজগর সাপ, ১২টি অজগরের বাচ্চা, ২টি লজ্জাবতী বানর, ১টি মেছো বাঘ, ১টি হিমালয়ান পামসিভিট, ১টি খয়েরী ফনি মনসা, ১ টি সবুজ বোড়াল ২টি কালেম পাখি, ২টি সরালী হাঁস. ১টি শঙ্খিনী সাপ। তাছাড়া ১টি বট বৃক্ষ ও বেশ কিছু ফলজ ও ওষধি গাছের চারা রোপণ করেন মন্ত্রী।
    
পরে লাউয়াছড়া বন বিশ্রামাগারের সন্নিকটে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বক্তব্য দেন।

বন  ও পরিবেশ মন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিদি অনুযায়ী বনাঞ্চলের ১০ কি.মি.এলাকার বাইরে করাত কল করতে হবে। আর পৌরসভা এলাকায় করা যাবে। অবৈধভাবে করাতকল হলে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যেগুলো উচ্চ আদালতের মামলাধীন রয়েছে সেগুলো রায়েই সিদ্ধান্ত হবে। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এম. মোসাদ্দেক আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আশরাফুজ্জামান কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি সালেক আহমদ, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিতেশ রঞ্জন দেবসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও বন বিভাগীয় কর্মকতাগণ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত