সনেট দেব চৌধুরী শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা

২৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৩:৩৫

"এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ের কারণে শ্রীমঙ্গলে প্রথমিক শিক্ষায় বিপর্যয়"

ব্র্যাক, রক্স, খ্রীষ্ট্রান স্কুল, এমসিডা, শিখন এর অনঅনুমোদিত প্রাথমিক স্কুলের কারণে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যয় বলে অভিযোগ করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা

ফাইল ছবি


শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা গত ১৩ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করে এক অভিযোগে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকায় ব্র্যাক, রক্স, খ্রীষ্ট্রান স্কুল, এমসিডা, শিখন এনজিও গুলো পরিচালিত অনুমোদন বিহীন বিদ্যালয় স্থাপন করে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচীকে একটি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন করেছে।

তারা অভিযোগ করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ব্র্যাক, রক্স, খ্রীষ্ট্রান স্কুল, এমসিডা, শিখন এনজিও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত অনুমোদনবিহীন বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক শ্রেনীর ছাত্রদের শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করছে পাশাপাশি সরকার পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন করে তুলেছে। এর ফলে সরকারের বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রোগ্রামটি শ্রীমঙ্গলে এনজিওদের কারণে হোচট খেয়ে পড়েছে বলে শিক্ষক কর্মকর্তারা অভিযোগে জানান। উত্তরে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

 উপস্থিত বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, ৮নং কালীঘাট ইউনিয়নের কালীঘাট চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকায় ব্র্যাক, রক্স, খ্রীষ্ট্রান স্কুল, এমসিডা, শিখন এনজিও পরিচালিত ২২টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে বলে শিক্ষিকা সঞ্চিতা পাল, রেখা রানী সিং, সৃষ্টিদেবরায়, সুমিতা তাঁতী অভিযোগ করেন।

একইভাবে ভাড়াউড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাহেদা শারমিন অভিযোগ করেন ব্র্যাক, এমসিডা, শিখন এনজিও পরিচালিত ১৫টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জলি দেব অভিযোগ করেন ব্র্যাক, এমসিডা, শিখন এনজিও পরিচালিত ১৫টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাকিয়াছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জ্যোতিকা দেবী অভিযোগ করেন ব্র্যাক, খ্রীষ্ট্রান স্কুল, এমসিডা এনজিও পরিচালিত ৬টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্মাছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা চক্রবর্তী অভিযোগ করেন ব্র্যাক, রক্স এনজিও পরিচালিত ৬টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেজুরিছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক সুরেন্দ্র তাঁতী অভিযোগ করেন ব্র্যাক, এমসিডা, শিখন এনজিও পরিচালিত ৯টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিপরাছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক সুদন নায়েক অভিযোগ করেন ব্র্যাক, রক্স এনজিও পরিচালিত ৮টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাগছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কল্পনা দাস অভিযোগ করেন ব্র্যাক, এমসিডা, শিখন এনজিও পরিচালিত ১২টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, উদনাছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক বিপ্লব বোনরজি অভিযোগ করেন ব্র্যাক, রক্স এনজিও পরিচালিত ৯টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুরভুরিয়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সবিতা দেব অভিযোগ করেন ব্র্যাক এনজিও পরিচালিত ৩টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুনবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মোঃ ছয়ফুল ইসলাম অভিযোগ করেন ব্র্যাক এনজিও পরিচালিত ৩টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, জঙ্গলবাড়ি চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মোঃ তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন রক্স, খ্রীষ্ট্রান স্কুল এনজিও পরিচালিত ৩টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মোঃ ইলিয়াস মিয়া অভিযোগ করেন ব্র্যাক, রক্স এনজিও পরিচালিত ৯টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মোঃ মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন ব্র্যাক, রক্স, শিখন এনজিও পরিচালিত ৮টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাইছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক সজীব কেওট অভিযোগ করেন ব্র্যাক, রক্স, শিখন এনজিও পরিচালিত ৭টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাফরাছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেন রক্স এনজিও পরিচালিত ১টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইছামতি চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাধবী পাল অভিযোগ করেন ব্র্যাক, রক্স এনজিও পরিচালিত ৬টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাতালি চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক বিজয় নুনিয়া অভিযোগ করেন শিখন এনজিও পরিচালিত ১টি অনুমোদনবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়।







আপনার মন্তব্য

আলোচিত